—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের পদাধিকারী হিসেবে রয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলাপরিষদ আসনে প্রার্থী হয়ে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের ওই সব পদাধিকারীদের অনেকেই হেরে গিয়েছেন। ফলে দলের অন্দরেই সমালোচনার মুখে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ।
হারের কারণ হিসেবে সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করার পাশাপাশি অধিকাংশ ক্ষেত্রে আঙুল উঠেছে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের কোন্দলের দিকে। এবার জেলায় ২২৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩৭টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল। ২৪টি পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু। ২৫ টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৯টিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল। জেলাপরিষদের ৭০টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৫৬টিতে জয়লাভ করেছে। জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েত,পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও বেশ কয়েকটি ব্লকে দলের জেলা কমিটির পদাধিকারী, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ কর্মাধ্যক্ষরা পরাজিত হয়েছেন। এমনকি জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ হেরে গিয়েছেন।
দলীয় সূত্রের খবর, তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার কয়েকটি ব্লকে দলের ও পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের হারের কারণ নিয়ে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করছেন দলেরই কর্মীরা। ইতিমধ্যে তমলুক, নন্দকুমার, শহিদ মাতঙ্গিনী, ময়না সহ বিভিন্ন ব্লকের পঞ্চায়েত ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন ব্লক নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটে জেলার কয়েকটি ব্লকের ফল আশানুরূপ না হওয়ায় ব্লক ও স্থানীয় নেতৃত্বদের মধ্যে কোন্দল সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছেন জেলা নেতৃত্ব।
আগামী ২১ জুলাই শহিদ দিবস স্মরণে কলকাতার ধর্মতলায় সমাবেশ কর্মসূচিকে সামনে রেখে বিভিন্ন ব্লকে নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠক করছেন ব্লক ও জেলা নেতৃত্ব। সেখানে নিজেদের মধ্যে মত-বিরোধ দূর করে একসঙ্গে সাংগঠনিক কাজকর্ম করার পাশাপাশি ২১ জুলাই দলের সমাবেশ কর্মসূচি সফল করতে জোটবদ্ধ ভাবে প্রচারের পরামর্শ দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রে খবর, ২১ জুলাই কলকাতায় শহিদ স্মরণ সমাবেশে তমলুক সাংগঠনিক জেলা থেকে ৫০ হাজার কর্মী-সমর্থকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এজন্য বিভিন্ন ব্লক ও শহর তৃণমূল নেতৃত্বদের নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হচ্ছে। সেখানেই পঞ্চায়েত ভোটের ফল পর্যালোচনার পাশাপাশি দলের ব্লক নেতৃত্বদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে সংগঠনের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ’’পঞ্চায়েত ভোটে সামগ্রিকভাবে জেলায় দলের ভাল ফল হয়েছে। কয়েকটি ব্লকের ফল আশানুরূপ হয়নি। আমরা ওই সব এলাকার নেতৃত্বকে হতাশ না হওয়ার জন্য বলেছি। আগামী নির্বাচনে যাতে ভাল ফল করা যায় সেজন্য ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।’’
যৌন হেনস্থা, ধৃত বাবা-ভাই
মহিষাদল: প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেফতার হল তাঁরই বাবা-ভাই।মহিষাদলের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, বছর বাইশের ওই তরুণী জন্মান্ধ। বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁর বৌদি সোমবার তাঁকে মহিষাদলের এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানেই জানা যায় তরুণী ছ’মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তরুণী তাঁর বাবা এবং ছোট ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর বাকি দুই ভাই বিবাহিত। তাঁরা আলাদা থাকেন। তরুণীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানা যাওয়ার পরে তাঁর বাবা শেখ কাশেদ এবং ছোট ভাই শেখ রহমতুল্লার বিরুদ্ধে মহিষাদল থানায় অভিযোগ জানান বড় দাদা। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করে মহিষাদল থানার পুলিশ। হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পান্ডে বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্ত করার পর পুলিশ বাবা এবং ভাইকে গ্রেফতার করেছে।"