Abhishek Banerjee

অভিষেকের কড়া বার্তায় তৎপরতা শাসক শিবিরে

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাসিন্দাদের রাস্তাঘাট, পাকাবাড়ি, পানীয় জল, নিকাশি ও শৌচাগারের মতো ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে পঞ্চায়েতগুলির ভূমিকা কেমন ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৫৯
Share:

কড়া বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। — ফাইল চিত্র।

‘কাজ না করে পদে থাকা যাবে না’—কাঁথির জনসভা থেকে পঞ্চায়েত নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভায় যাওয়ার পথে শনিবার মারিশদা পঞ্চায়েতের একটি গ্রামে ঢুকে বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাঁদের অভিযোগ শুনেছিলেন অভিষেক। বাসিন্দারা পাকাবাড়ি, রাস্তাঘাট, নিকাশির সমস্যা নিয়ে নালিশ করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ শোনার পরে কাঁথির সভা থেকে অভিষেক পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাসিন্দাদের রাস্তাঘাট, পাকাবাড়ি, পানীয় জল, নিকাশি ও শৌচাগারের মতো ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করতে পঞ্চায়েতগুলির ভূমিকা কেমন ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। আর এই কাজে অধিকাংশ পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদে ক্ষমতায় থাকা শাসক দল তৃণমূলের প্রতিনিধিদের কাজের খতিয়ান বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই ধরা হবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে ২২৩ টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ২৫টি পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ সবেতেই ক্ষমতায় তৃণমূল। গত বছর বিধানসভা নির্বাচনের ফলের নিরিখে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের ফল খারাপ রয়েছে। এই অবস্থায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে নিরঙ্কুশ জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সেজন্য জেলার সব পঞ্চায়েত এলাকায় বাসিন্দারা পাকাবাড়ি, রাস্তাঘাট, পানীয় জল, নিকাশি এবং শৌচাগার সহ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা কতখানি পেয়েছেন ও বাসিন্দাদের এখনও কী কী সমস্যা রয়েছে তা বিস্তারিত জানার জন্য দলের সমস্ত জেলা ও ব্লক নেতাদের গ্রামে গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। এছাড়াও পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যার বিষয়গুলি জানার জন্য বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে খবর, শনিবার কাঁথিতে সভার পরে অভিষেক দলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তরুণ মাইতিকে নির্দেশ দিয়েছেন দলের জেলা ও ব্লক নেতাদের গ্রামে গ্রামে যেতে হবে। প্রত্যেক ব্লক নেতাকে ১০টি করে গ্রামে যেতে হবে এবং বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাঁদের কী কী সমস্যা রয়েছে তা শুনতে হবে। এবিষয়ে জেলা নেতৃত্বকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। আগামী ১৫ দিনের এবিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীননাথ দাস বলেন, ‘‘ব্লকের প্রতিটি গ্রামে, বুথে উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি বাসিন্দাদের এখনও কী কী সমস্যা রয়েছে তা পর্যালোচনা করতে পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাঁদের সমস্যা বিস্তারিতভাবে জানা হবে।’’ তমলুক ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা জেলাপরিষদের মৎস্য-প্রাণিসম্পদ কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ বেরা বলেন, ‘‘ব্লকের সব পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তাঘাট, পানীয় জলের ব্যবস্থা, নিকাশি সহ বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যা বিস্তারিতভাবে জানতে গ্রামে গ্রামে যাওয়ার প্রস্ততি শুরু হয়েছে।’’

তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন প্রত্যেক ব্লক নেতাকে ১০টি করে গ্রামে যেতে হবে। বাসিন্দাদের সমস্যা, দাবি শুনতে হবে। জেলা নেতাদেরও গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তাঁদের সমস্যা জানতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান ও দাবি পূরণে প্রশাসনের তরফে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement