প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে দিঘাগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল তিন জনের। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়া-পাঁশকুড়া রেললাইনের রঘুনাথবাড়ি স্টেশনের কাছে। এই ঘটনায় দুই মহিলা-সহ এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দু’জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। মৃতেরা হলেন নাম জয়দেব সাঁতরা (৬৫), রিঙ্কু ভৌমিক (৪৮)। অন্য এক মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রেলের উদাসীনতাতেই এই দুর্ঘটনা। মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতেরা সকলেই পেশায় ফল ব্যবসায়ী। প্রতি দিনই তাঁরা পাঁশকুড়া থেকে ফল নিয়ে হলদিয়ায় বিক্রি করতে যেতেন। অন্য দিনের মতো বুধবার সন্ধ্যায় ওই ফল বিক্রেতারা হলদিয়া থেকে পাঁশকুড়াগামী ট্রেনে ওঠেন। পাঁশকুড়া স্টেশনের আগে রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে নামেন তাঁরা। তার পর রেললাইন ধরে হেঁটে বাড়ির পথে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দিঘাগামী একটি ট্রেন ওই লাইনে চলে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনটির ধাক্কায় ছিটকে পড়েন তিন জন। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। অন্য এক মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় পাঁশকুড়া সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুব্রত ভৌমিক বলেন, “ওঁরা হলদিয়া লোকাল থেকে নামার পর রেললাইন ধরে হাঁটার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।’’ তিনি আরও জানান, রঘুনাথবাড়ি স্টেশনে যাওয়া-আসার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন জলে ডুবে রয়েছে। এই রাস্তা ধরে যাতায়াত করা যায় না। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই গ্রামবাসীরা রেললাইন ধরে যাতায়াত করতে বাধ্য হন। সুব্রতের অভিযোগ, এই নিয়ে বার বার আবেদন করলেও রেল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তারই ফলশ্রুতি এই দুর্ঘটনা। তাঁর কথায়, “মৃতদের পরিবারকে রেলের তরফ থেকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। সেই সঙ্গে রাস্তাটি যাতে দ্রুত যাতায়াতের উপযোগী করে তোলা যায়, সে বিষয়েও রেলকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’