কৃতী: সৌলিনী মাইতি, সুশ্রীমা মাইতি ও নেহা দাস।
জেলার তিন ‘কন্যাশ্রী’কে পুরস্কৃত করবে রাজ্য সরকার। যোগ-ব্যায়াম, নৃত্য এবং জুডোতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৪ অগস্ট ‘কন্যাশ্রী’ দিবসে কলকাতায় নজরুল মঞ্চে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। বিভিন্ন জেলার কৃতী ‘কন্যাশ্রী’দের সঙ্গে ওই তিনজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সৌলিনী মাইতি, সুশ্রীমা মাইতি এবং নেহা দাস কাঁথির বাসিন্দা। এদের দু’জন কাঁথি হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ে একাদশ এবং একজন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সৌলিনী দারুয়ার বাসিন্দা। সে ২০১৭ সালে নেপালের কাঠমাণ্ডুতে ‘সাউথ এশিয়ান যোগা স্পোর্টসে’ সাব জুনিয়র টিম ইভেন্টে প্রথম হয়েছিল। ২০১৪ সালে ন্যাশনাল স্কুল যোগা চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় হয়েছিল সৌলিনী। বাবা সুনীতি মাইতি বলেন, ‘‘সৌলিনীর যোগব্যায়ামের প্রতি ঝোঁক রয়েছে। তাই ওকে এ নিয়ে উৎসাহিত করি।’’
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুশ্রীমা রবীন্দ্রনৃত্যে বহু পুরস্কার পেয়েছে। ২০১৮ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘কৃষ্ণপ্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল ডান্স কম্পিটিশন অ্যান্ড ফেস্টিভালে’ পাঁচটি পুরস্কার পায়। ওই বছরই ‘নেহরু চিলড্রেন্স মিউজিয়াম’ থেকে ‘শ্রীমল যুগল স্মৃতি পুরস্কার’ স্কলারশিপ পেয়েছিল সেরপুর এতোয়াড়িবাড়ের মেয়েটি। বাবা অলোক মাইতি বলেন, ‘‘ওর মা-ও নৃত্যশিল্পী। মাকে দেখেই সুশ্রীমার নাচের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।’’
রামনগর বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী নেহা জুডোয় পারদর্শী। কাঁথির ভেড়ি বারাঙ্গা গ্রামের মেয়েটি ২০১৮ সালে রাজ্য যুব প্রতিযোগিতায় অনূর্ধ্ব-১৮য় ৪৮ কিলোগ্রাম বিভাগে প্রথম হয়।
জেলার তিন ‘কন্যাশ্রী’ রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানে মনোনীত হওয়ায় খুশির হাওয়া জেলা প্রশাসনে। জেলার সমাজ কল্যাণ আধিকারিক পূর্ণেন্দু পৌরাণিক বলেন, “আমরা আটজন কন্যাশ্রীর নাম পাঠিয়েছিলাম। তাতে ওই তিন ছাত্রী ছাড়াও এবার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জেলা থেকে প্রথম ১০ জনের মেধা তালিকায় থাকা ছাত্রীদের নাম ছিল। নাবালিকা বিয়ে রোধ করা ছাত্রীদেরও মনোনয়ন করা হয়েছিল। তবে সবাইকে পিছনে ফেলে এই তিনজন এবার জেলা থেকে প্রতিনিধিত্ব করবে। আমরা খুশি।’’
খুশি তিন কন্যাও। সৌলিনী, সুশ্রীমা এবং নেহার কথায়, “আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আগামী দিনে আরও ভাল ফল করার জন্য এই পুরস্কার আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।’’