sand mafia

Sand mafia: হলদি নদীর পাড়ে রমরমিয়ে চলছে বালি মাফিয়াদের কারবার, পদক্ষেপের আশ্বাস প্রশাসনের

প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে কোনও রকমের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলেই বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২১ ০১:২১
Share:

নিজস্ব চিত্র।

প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে কোনও রকমের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলেই বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর শুক্রবারই প্রকাশ্যে এল পূর্ব মেদিনীপুরে অবৈধ ভাবে বালি পাচারের কারবার। হলদি নদীর পাড়ে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রমরমিয়ে সেই ব্যবসা চালাচ্ছেন বালি মাফিয়ারা। অথচ, বিপুল টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের থেকে জমি লিজ নিয়ে ওই ব্যবসায় ধুঁকছেন বৈধ খাদান মালিকেরা।

Advertisement

বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হলদি নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারাও। বালি বোঝাই ডাম্পার, মেশিনভ্যানের যাতায়াত করায় দিনে দিনে বেহাল হয়ে যাচ্ছে রাস্তা। প্রশাসনেরও কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। বালুঘাটা থেকে নরঘাট পর্যন্ত ভবানীপুর, মহিষাদল ও নন্দকুমার থানা এলাকায় এমন বহু বালি খাদানের হদিশ মিলেছে। বৈধ কাগজ দেখতে চাইলে বিষয়টিকে গুরুত্বই দিচ্ছে না বালি মাফিয়ারা, এমনটাই অভিযোগ।

মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই এলাকার বৈধ বালি খাদানের মালিক মোক্তার আলির দাবী, ‘‘বৈধ বালি খাদান কিনে মহা ফাঁপরে পড়েছি আমরা। বালুঘাটা থেকে নরঘাট পর্যন্ত প্রায় ১২টি অবৈধ খাদান থেকে অনেক কম টাকায় বালি পাচার হয়ে যাচ্ছে। অথচ সরকারকে বিপুল টাকা দেওয়া সত্ত্বেও এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি আমরা। মাথায় অনেক টাকার দেনা। বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।’’

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা শাসক এবং জেলার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুদীপ্ত পোড়েলের দাবী, ‘‘এই এলাকাগুলিতে ৯টির মতো বৈধ বালি খাদান রয়েছে। তার বাইরে কোনও ব্যক্তি চোরাই পথে বালি তোলার চেষ্টা করলেই আমরা তাদের পাকড়াও করে জরিমানা করি। এরপরও নদীর বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ খাদান গজিয়ে উঠছে। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement