ঘিঞ্জি: এমন পরিবেশেই বসে নিত্যদিনের বাজার। নিজস্ব চিত্র
সর্বত্র ছাউনি নেই, খোলা আকাশের নীচেই বসে বাজার। ঘিঞ্জি বাজারে নিকাশি ব্যবস্থাও বেহাল। আগুন লাগলে দমকল ঢোকার জায়গা নেই। তমলুক শহরের সবচেয়ে বড় বড়বাজারের এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বদলাতে চলেছে। এ বার বড়বাজার সংস্কার করে বহুতল ভবন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তমলুক পুরসভা।
তমলুক পুরসভার পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন জানান, শহরের শঙ্করআড়ায় অন্যতম পুরনো বড়বাজারের সংস্কার করে বহুতল ভবন গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য আগ্রহী সংস্থাগুলির কাছে দরপত্র চাওয়া হয়েছিল। কয়েকটি সংস্থা দরপত্র জমাও দেয়। তাদের মধ্যে থেকেই একটি সংস্থা বাছাই করা হয়েছে। শীঘ্রই তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বড়বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথেও আলোচনা করা হবে।
তমলুকে বড়বাজার ছাড়াও জেলখানা মোড় এলাকার মহাপ্রভুবাজার ও মানিকতলা এলাকায় দু’বেলা বাজার বসে। শহরের নিমতলার কাছে কৃষি বিপণন দফতরের উদ্যোগে একটি বাজার গড়ে উঠেছে। যদিও শহরের বেশিরভাগ মানুষ বড়বাজারেই ভিড় করে।
তমলুক পুরসভার অধীন বড়বাজারের বয়স একশো বছরেরও বেশি। বাজারে পাকা ঘরের পাশাপাশি অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া কয়েকটি চাতালও রয়েছে। ওইসব ছাউনির নীচে চাল, আলু, সব্জি, মুদি, স্টেশনারি-সহ বিভিন্ন সামগ্রীর দোকান রয়েছে। পুরসভার হিসেব অনুযায়ী, বড়বাজারে বর্তমানে মোট ১৬০টি স্থায়ী দোকান রয়েছে। এই সব দোকান থেকে পুরসভা মাসিক ভাড়া আদায় করে। এ ছাড়াও রয়েছে মাছ বাজার ও মুড়ি বাজার। মাছ বাজার বার্ষিক ভিত্তিতে লিজে দেওয়া হয়।
বড়বাজার বা মেছোবাজারের একাংশ নিয়ে বছর কয়েক আগে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স গড়া হয়েছিল। যদিও বাজারের ওই অংশ এখন বেহাল বলে অভিযোগ। এ বার গোটা বাজারের সামগ্রিক সংস্কার করে ভবন তৈরি করা হবে বলে পুরসভার খবর।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ (পিপিপি) মডেলে বহুতল বাজার গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুরসভা। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করে তাঁর একাংশ বাজার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। সেখানে বাজারের বর্তমান ব্যবসায়ীদেরও পুনর্বাসন দেওয়া হবে। আর বাকি অংশ পুরসভা ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা নিজেদের কাজে ব্যবহার করবে।