প্রতীকী ছবি।
পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে ধৃত ৩ তৃণমূলকর্মীকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল তমলুক আদালত। আগামী ২১ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। তমলুক আদালতের সরকারি আইনজীবি শেখ জাহেদুল ইসলাম মণ্ডল জানান, “ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।”
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর থেকেই অভিযুক্তদের সন্ধানে ময়না জুড়ে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে প্রথমে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিককে আগেই পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার পর নন্দন ও সুজয় মণ্ডলকে পাকড়াও করে ধৃতদের থেকে সুব্রত মণ্ডল নামে আর এক অভিযুক্তের সন্ধান মিলেছে। এই মামলায় বাকি অভিযুক্তরা এখন পলাতক।
রবিবার ধৃতদের তমলুক আদালতে হাজির করানোর সময় আদালত চত্বরে তৃণমূল সমর্থকদের বিশেষ দেখা মেলেনি। এই মামলা প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর অ্যাসিস্ট্যান্ট লিগ্যাল অ্যান্ড ডিফেন্স কাউন্সিল সাহিন খান বলেন, “আজ তমলুক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেকেন্ড কোর্টে ইন্দ্রনীল ঘোষের এজলাসে মামলাটি ওঠে। সেখানে লিগ্যালএড ডিফেন্স কাউন্সিল সিস্টেম অব পূর্ব মেদিনীপুরের তরফ থেকে ময়নার ধৃত ৩ জনের জন্য বেল পিটিশান করা হয়েছিল। তবে বিচারক সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর পুলিশের আবেদনক্রমে ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। আগামী ২১ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।’’