Jhargram

দুধের জোগান কম, মিষ্টি ব্যবসায়ীরা চিন্তায়

চাহিদা মতো মিষ্টি তৈরিই করতে পারছেন না মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আক্ষেপ, ভাইফোঁটার দিন চাহিদা অনুযায়ী দুধ পাওয়া না যাওয়ায় মিষ্টির পরিমাণ ও গুণগত মান কমে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ভাইফোঁটার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মিষ্টিমুখ করানোর রীতি। তাই এই বিশেষ দিনে সব জায়গাতেই মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে থাকে। ভাইফোঁটার বেলা গড়ালেই আকাল ঘটে মিষ্টির। তবে ঝাড়গ্রাম জেলার ক্ষেত্রে সমস্যাটা কিছুটা অন্যরকম। জঙ্গলমহলের এই জেলায় ঘটছে দুধের আকাল। ফলে চাহিদা মতো মিষ্টি তৈরিই করতে পারছেন না মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। তাঁদের আক্ষেপ, ভাইফোঁটার দিন চাহিদা অনুযায়ী দুধ পাওয়া না যাওয়ায় মিষ্টির পরিমাণ ও গুণগত মান কমে যায়।

Advertisement

ভাইফোঁটা উপলক্ষে ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচমাথা মোড়ের একটি বড় মিষ্টির দোকানে লটভাজা ক্ষীরকদম্ব, ক্ষীরভাজা ক্ষীরকদম্ব, গুড়ের রসগোল্লা, কেশরভোগ রসগোল্লা, ম্যাঙ্গো রসগোল্লা, কমলাভোগ (হলুদ রসগোল্লা), কাঁচালঙ্কার রসগোল্লা, গুড়ের কালাকাঁদ, গাজরের কালাকাঁদ, সাদা কালাকাঁদ তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও আছে বাদশাভোগ, শান্তিভোগ, ভাইফোঁটার বিশেষ সন্দেশ, তালশাঁস, ঘট, মায়াভোগ, মৌচাক, সুগার ফ্রি মিষ্টি। ওই মিষ্টি দোকানের মালিক সৌমেন ভৌমিক বললেন, ‘‘প্রতিদিন ২০০ লিটার দুধ মিষ্টির জন্য লাগে। ভাইফোঁটায় সেই চাহিদা বাড়লেও জোগান মেলে না। তাই চাইলেও বেশি পরিমাণে মিষ্টি বানানো যায় না। গরু ও মোষের দুধ পর্যাপ্ত পেলে তবেই মিষ্টির জোগান দেওয়া সম্ভব।’’ তিনি জুড়েছেন, ‘‘ভাইফোঁটার মিষ্টির জন্য ছানা, দুধের লট আগে থেকে তৈরি করে রাখা হয়। তাই কিছুটা জোগান দেওয়া যায়। এবার ঘূর্ণিঝড় দানা আসার সময় ক্ষীর কিছুটা মজুত করে রেখেছিলাম। তাই আশা করছি কিছুটা সামাল দেওয়া যাবে।’’

শহরের কলেজ মোড়ের একটি মিষ্টি দোকানে ব্রোনভিটা রসগোল্লা, চকলেট রসগোল্লা, নানা ধরনের ক্ষীরকদম্ব, ক্রিম টোস্ট, কেশর মালাইয়ের মত নানা ধরনের মিষ্টি বানানো হচ্ছে। ওই মিষ্টি দোকানের মালিক ভবানীপ্রসাদ কুণ্ডুর কথায়, ‘‘বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বানানো হলেও রসগোল্লা, ক্ষীরকদম্ব ও কালাকাঁদের জোগান দেওয়া যায় না। মিষ্টি যে হবে দুধ কই? ভাইফোঁটার সময়ে কম করে আরও ৫০০ লিটার দুধ পেলে চাহিদা কিছুটা মিটত।’’

Advertisement

অরণ্য শহর ঝাড়গ্রাম ছাড়াও বিনপুর-১ ব্লকের আঁধারিয়া এলাকার মিষ্টির সুনাম রয়েছে এই জেলায়। মলয় শতপথী নামে সেখানাকার এক মিষ্টি ব্যবসায়ী বলছেন, ‘‘গ্রামের দিক বলে দুধের জোগান কিছুটা মেলে। তবে আরও বেশি দুধ পেলে আরও বেশি মিষ্টি বানানো যেত।’’ মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, জঙ্গলমহলের এই জেলায় খাটালের সংখ্যা কম। দুধ সংরক্ষণের কোনও বিশেষ ব্যবস্থাও নেই। তাই এই পরিস্থিতি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement