ফাইল চিত্র।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেশপ্রাণ ব্লকে রোড শো এবং সভার পরে রাজনৈতিক অশান্তি নিয়ে চাপানউতোর অব্যাহত। এরই মধ্যে জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা প্রাপ্ত শুভেন্দুর কর্মসূচির দিন একই সময়ে এবং একই জায়গায় তৃণমূলকে কর্মসূচি করতে দেওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে শুভেন্দুর অনুমতিক্রমে কাঁথি থানার ইনস্পেক্টর ইনচার্জকে আইনজীবী মারফত নোটিস পাঠানো হল।
রবিবার কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকে ঢোলমারি বাজার থেকে রোড শো করেন শুভেন্দু অধিকারী। স্থানীয় একটি হাইস্কুলের মাঠে সভাও করেন। ওই সভা শেষে শুভেন্দুর কনভয় যখন কাঁথি রওনা দিচ্ছিল, সে সময় তৃণমূলের কর্মীরা ‘মীরজাফর’, ‘সারদাএবং রোজভ্যালিতে অভিযুক্ত দূর হটো’ বলে স্লোগান দেন। পরে সভা ফেরত বিজেপি কর্মীদের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর এবং মারধরের অভিযোগ উঠে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যে ওই ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এখন পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও জেড ক্যাটাগরির সুরক্ষা প্রাপ্ত শুভেন্দুর কর্মসূচির সময় তৃণমূলকে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া পুলিশের ‘মদত’ রয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ওই দিন সভাস্থল থেকে বেরনোর সময় শুভেন্দুর কনভয়ের সামনে তৃণমূল কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় বাধা দিয়েছিল। দাবি, তা রুখতে পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল।
কাঁথি থানা সূত্রের খবর, এ নিয়ে গত সোমবার আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। তাতে পুলিশের ভূমিকার প্রশ্ন করার পাশাপাশি অভিযোগ করা হয়েছে দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ও তৃণমূল নেতা তরুণ জানার বিরুদ্ধে। তবে বিজেপি নেতৃত্বের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রবীন কুমার প্রকাশ।
শুভেন্দুর সভার পরে তৃণমূলের পদযাত্রা এবং পথসভা পুলিশকে জানিয়ে করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তরুণ। তবে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘শুভেন্দু আমাদের দলের একজন বরিষ্ঠ নেতা। তিনি যে ধরনের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা পান অথচ তার কর্মসূচিতে রাজ্য পুলিশের কোনও ভূমিকা ছিল না। তাই তিনি আইনজীবী মারফত কাঁথি থানার আইসি কে চিঠি পাঠিয়েছেন বলে শুনেছি।’’
তরুণীর দেহ
মহিষাদল: এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ মিলল মহিষাদলের গড়কমলপুর গ্রামে। মৃতের নাম দীপা বেরা (২৩)। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিজন। প্রায় বছর পাঁচেক আগে দীপার বিয়ে হয়েছিল। তাঁর বছর তিনেকের এক সন্তান রয়েছে। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।