Suvendu Adhikari

এগরা থানায় আচমকা শুভেন্দু, আর দু’-তিন দিন দেখব, তার পরে অভিযান হবে, হুঁশিয়ারি পুলিশকে

জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। একটা ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তার মতো করে তদন্ত করছে। যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

এগরা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৩ ২০:৩৯
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

এগরায় বিস্ফোরণকাণ্ড পরবর্তী সময়ে খাদিকুল গ্রামে ‘পুলিশি সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার এগরা থানায় গিয়ে পুলিশকে ‘ধমক’ দিয়ে বিরোধী দলনেতাকে বলতে শোনা গেল, পুলি‌শ নিজেকে সংযত না করলে থানা ঘেরাও করা হবে! নন্দীগ্রাম-খেজুরির কায়দায় আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘‘পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা এই সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। একটা ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তার মতো করে তদন্ত করছে। যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’

গত সপ্তাহে মঙ্গলবার এগরার সাহাড়া পঞ্চায়েতের খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় অন্তত ৯ জনের প্রাণ গিয়েছে। ওই দিন ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গেলে, তাঁদের উপর চড়াও হন গ্রামবাসীদের একাংশ। বিজেপির অভিযোগ, ওই ঘটনার ফলস্বরূপ গ্রামে পুলিশি ধরপাকড় শুরু হয়। রাতভর পুলিশের তল্লাশি অভিযানে গ্রামের অধিকাংশ পুরুষই ঘরছাড়া। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশের উপর যাঁরা চড়াও হয়েছিলেন ঘটনার দিন, ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে তাঁদের চিহ্নিত না করে ‘নিরীহ’দের ধরা হচ্ছে! শুভেন্দু বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই চার নিরীহ গ্রামবাসীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁরা সে দিন আইসির উপর হামলায় কোনও ভাবেই জড়িত ছিলেন না।’’ এর পরেই সময় বেঁধে দিয়ে এগরা থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি আর ২-৩ দিন দেখব। তার পরেও পুলিশ সংযত না হলে আমরা এগরা থানা ঘেরাও অভিযানে নামব।’’

Advertisement

মঙ্গলবার এগরায় ‘পুলিশি সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে শুভেন্দুর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। এগরার সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে দিঘা মোড় পর্যন্ত সেই মিছিল হয়। তার পরেই এগরা থানায় যান শুভেন্দু। সেখানে ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলার সময়েই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যে দিন থানা ঘেরাও করব, সেদিন জলকামান এনেও আমাদের ঠেকাতে পারবেন না। এলাকাবাসী প্রয়োজনে নন্দীগ্রাম-খেজুরির কায়দায় আন্দোলনে নামবে। তখন পরিস্থিতি কী ভাবে সামলান দেখব।’’

শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষকে টেক্কা দেওয়ার অভ্যন্তরীণ লড়াই। দিলীপকে কাঠি করার জন্য এ সব করছে। আর কাঁথি পুরসভায় সুদীপ সেনের ৫০ লক্ষ টাকা গিয়েছে কি না, সেটা স্পষ্ট করুক। তার পর খেজুরি-নন্দীগ্রাম নিয়ে কথা বলবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement