গ্রামে গ্রামে পুলিশি সন্ত্রাস-বিরোধী কমিটি গড়ার ডাক দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
নন্দীগ্রাম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শাসকদল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে এ বার গ্রামে গ্রামে পুলিশি সন্ত্রাস-বিরোধী কমিটি গড়ার ডাক দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের জানকীনাথ মন্দিরের কাছে একটি সভায় এসে পুলিশ-সহ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “অন্যায়-অত্যাচার হলে আমি যে রুখে দাঁড়াই, মানুষ তা জানে। জমি অধিগ্রহণ বিরোধী আন্দোলনে নন্দীগ্রাম থেকে জঙ্গলমহলে গিয়েছি। লড়েছি। এ বার পুলিশের বিরুদ্ধেও নতুন করে লড়াইয়ের জন্য মানুষকে একজোট করছি। ৫৩টি গ্রাম বাদ দিয়ে বাকি সব গ্রামেই তা করব।’’
গত শুক্রবার নন্দীগ্রাম কিসান মান্ডিতে ডেপুটেশন জমা দিতে এসে এক কৃষি আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় হরিপুর পঞ্চায়েত এলাকার সাত বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত হরিপুর পঞ্চায়েতের সদস্য মেঘনাদ পাল। শুভেন্দুর দাবি, “ঘটনাস্থলে মেঘনাদ ছিলই না। অথচ, সে এখন পুলিশ হেফাজতে। বাকি যাঁরা গ্রেফতার হয়েছে, তাঁরাও কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়। পুলিশের এই গ্রেফতারি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এছাড়া এই জেলার ময়না, খেজুরি, ভগবানপুর, দেশপ্রাণ ব্লক এলাকায় হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপি সমর্থকদের।”
যদিও পুলিশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ খারিজ করে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাসের পাল্টা দাবি, “শুভেন্দু নিজেই তো সন্ত্রাসের নেতা। তা নির্বাচনের সময় সবাই দেখেছে। গুন্ডাগিরি করাই ওঁর স্বভাব। শান্ত নন্দীগ্রামকে অশান্ত করতে চাইছে শুভেন্দু। গ্রামে গ্রামে দাঙ্গা লাগাতে চাইছে। নন্দীগ্রামের মানুষ তা হতে দেবে না।’’