নন্দীগ্রামে শুভেন্দু। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যে শিল্পে খরার অভিযোগ তুলে ও শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলকে আক্রমণ করতে গিয়ে সরস্বতীর সঙ্গে বিশ্বকর্মারও ‘শরণাপন্ন’ হলেন শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রে জানকীনাথ মন্দির সংলগ্ন ক্লাবে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে আসেন বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই শাসক দলকে কটাক্ষ করে বিজেপি এ রাজ্যে ক্ষমতায় না আসা অবধি বিশ্বকর্মার মতো দেবী সরস্বতীকেও বাংলা না ছাড়ার অনুরোধ করেন তিনি।
পুজো উদ্বোধনের পর পুরোহিতের সঙ্গে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে পুজো দেন শুভেন্দু। তারপর শিশু পডুয়াদের বই-খাতা বিতরণ করেন। পরে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, ‘‘পশ্চিম বাংলায় শিক্ষক ও শিক্ষা শব্দটির যে ভাবে অমর্যাদা হয়েছে তাতে শিক্ষকদের অসম্মান ও অশ্রদ্ধার জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে এই সরকার। আগে শিক্ষক দেখলে শ্রদ্ধায় রাস্তা ছেড়ে সরে দাঁড়াতাম। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতাম। কিন্তু আজ কে আসল শিক্ষক আর কে ভুয়ো, সেটা বাছাই মুশকিল। ক্লাস ফাইভ পাশ করেই কেউ কেউ হাই স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক! এ লজ্জা রাখার জায়গা নেই। গোটা শিক্ষা দফতর এখন জেলে। সাদা খাতা জমা দিয়ে ৭০ হাজার লোক চাকরি পেল।’’
এরপরই হাতজোড় করে সরস্বতীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘মা তুমি ছেড়ে যেও না আমাদের। এই অকাল কুষ্মাণ্ডদের দেখে গোটা বাংলার অগণিত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাবিদদের ছেড়ে যেও না। আমরা সব ঠিক করে দেব। শিক্ষাক্ষেত্রে যে দুর্নীতি তা আমরা ঠিক করে দেব।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে বিশ্বকর্মা পুজোয় যোগ দিতে এসেও রাজ্যে শিল্পের দৈন্যদশা নিয়ে শাসক দলকে আক্রমণ
শুভেন্দুর এমন মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘অনেক ভাল কাজ হচ্ছে। উনি হতাশায় ভুগছেন। আর সেই জন্য কখনও দেবতার কাছে, কখনও আদালতের কাছে কাকুতি মিনতি করছেন। উনি যে পরিমাণে হতাশায় ভুগছেন তাতে ওঁর রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে কাকুতি-মিনতি করা প্রয়োজন।’’