রাস্তার মোড়ে মোড়ে বসানো হচ্ছে ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র।
আজ, রবিবার লালগড়ের নেতাইয়ে সামাজিক কর্মসূচিতে আসার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। নেতাইয়ের শহিদ স্মৃতি কমিটি আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানের প্রচারে ইতিমধ্যেই মন্ত্রীর বদলে শুভেন্দুর ‘সেবক’ পরিচয় নিয়ে চর্চা চলছে। এ বার তাঁর যাত্রাপথে নজরে এল একাধিক হোর্ডিং, ফ্লেক্স, ব্যানার। কোনওটাতেই তৃণমূলের প্রতীক নেই, নেই শুভেন্দুর মন্ত্রী পরিচয়ও। পরিবর্তে রয়েছে ‘নন্দীগ্রামের মুক্তিসূর্য’, ‘বাংলার হৃদ্স্পন্দন’, ‘জনসেবক’-এর মতো নানা বিশেষণ।
মেদিনীপুরের যে রাস্তা দিয়ে শুভেন্দু লালগড়ে যাবেন, সেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাগানো হচ্ছে শুভেন্দুর ছবি-সহ এই সব ফ্লেক্স। মেদিনীপুর, শালবনি, চন্দ্রকোনা রোড, সবং, খড়্গপুর-সহ অনেক জায়গাতেই এই ফ্লেক্স-ব্যানার দিয়েছেন ‘দাদার অনুগামী’রা। শুভেন্দু অনুগামী চন্দ্রকোনা রোডের প্রণব ঘোষ বলেন, ‘‘বহুদিন পর দাদার পদার্পণ হচ্ছে জেলায়। উনি সদ্য করোনা মুক্ত হয়েছেন। দাদার মঙ্গল কামনায় আমরা মন্দিরে মন্দিরে পুজো দিয়েছি। এ বার ওঁকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হচ্ছি।’’ জানা গিয়েছে, রবিবার মেদিনীপুর শহরের অদূরে ঢোকার মুখে মোহনপুর, ধর্মা, কেরানিচটিতে শুভেন্দুকে স্বাগত জানাতে ফুল, মালা নিয়েও অনেকে দাঁড়িয়ে থাকবেন। মোহনপুর থেকে ভাদুতলা পর্যন্ত বাইক র্যালিও হতে পারে।
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরেও শুভেন্দুর ছবি-সহ হোর্ডিং ঝুলিয়েছেন তাঁর অনুগামীরা। ছবির উপরে কোনওটায় লেখা, ‘জঙ্গলমহলের অগ্নিযুবক’, কোনওটায় ‘বিপদের সাথী’, কোনওটায় আবার ‘অন্যায়ের প্রতিবাদী মুখ’। ‘জনগণের নেতা, জননেতা জিন্দাবাদ’ লেখা হোর্ডিংও চোখে পড়েছে। কয়েক মাস ধরেই জেলার সবং, মোহনপুর, দাঁতন, ঘাটাল, খড়্গপুরের মতো এলাকায় শুভেন্দু অনুগামীরা একের পর এক অরাজনৈতিক কর্মসূচি করছেন। রবিবার এক কর্মসূচিতে মেদিনীপুরেও আসার কথা ছিল শুভেন্দুর। তবে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন থাকায় ওই কর্মসূচি স্থগিত হয়েছে।
শুভেন্দুকে স্বাগত জানাতে তাঁর অনুগামীদের এমন আয়োজনে দল যে অস্বস্তিতে পড়েছে তা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবিতেই স্পষ্ট। জেলার একাধিক এলাকা শুভেন্দুর ছবি সম্বলিত হোর্ডিংয়ে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছে। অথচ, তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, ‘‘এমন হোর্ডিং দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। না জেনে কিছু বলতে পারব না।’’