এগরায় দুবদায় নির্বাচনী প্রচারে শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
শেষবেলার ভোট প্রচারে জোর দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের বুধবার নন্দীগ্রাম, কাঁথি, এগরা, তমলুকের মতো একাধিক এলাকায় জনসভা করলেন। কোথাও দাবি করলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে দুর্নীতি করেছন, তো কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সুষ্ঠ ভাবে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন।
বুধবার সকালে নন্দীগ্রামের আমদাবাদে, দুপুরে কাঁথির মারিশদা, মাজনা এলাকায়, বিকালে এগরার দুবদা এবং রাতে তমলুকে সভা করেন শুভেন্দু। দুবদার সভ থেকে তিনি রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন। রাজ্যে গীতাঞ্জলি আবাস যোজনা বন্ধ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে গীতাঞ্জলি আবাস যোজনা ছিল। ২০১৯ সালের পর ভিখারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দেউলিয়া হয়ে সেই প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে।’’ ২০২১ সালের পরে রাজ্যে নতুন করে বার্ধক্য ভাতা না দেওয়ায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘২০২১ সালের পর বার্ধক্য ভাতার জন্য দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদন পত্র নিলেও একটা ভাতা দেয়নি। অটল কৃষি পেনশন যোজনায় তিন হাজার টাকা করে ভাতা দেয় কেন্দ্র। এখানে কেউ তা পাননি আপনারা।’’
শুভেন্দুর কথায়, ‘‘ভোট ঘোষণার পরে রাজ্যের এক লক্ষ ১৫ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার্সরাদের জুন মাসের বেতন থেকে ১৫০ টাকা করে মুখ্যমন্ত্রী চাঁদা কেটেছেন এক কোটি ৭২ লক্ষ টাকা।’’ শুভেন্দু এ দিন দাবি করেন, ‘‘বিজেপি সরকার হলে মিড ডে মিলে দুধ, ফল, পণির দেওয়া হবে। এখনের মিড ডে মিলের মতো টিকটিকি আরশোলা দেওয়া হবে না।’’ এদিন বিরোধী বাম ও কংগ্রেসেকেও বিঁধেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘বাম ও কংগ্রেসের বিরোধী আসনে এই লড়াই ছিল। এই লড়াইটা বিজেপি করছে। বাংলাকে বাঁচাতে হবে। শুভেন্দুর কটাক্ষ প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি উত্তম বারিক বলেন, ‘‘একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ রেখেছেন কেন? কেন এতো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। আসলে বিজেপি ধাপ্পা বাজের সরকার।’’