ভাঙচুর করা হয়েছে বাইক। —নিজস্ব চিত্র
হলদিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের একাধিক বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘিরে সোমবার দুপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছজায় শহরের ২২নং ওয়ার্ডের একাধিক এলাকায়। অভিযোগ, মেদিনীপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীনই হলদিয়ায় তাণ্ডব শুরু করে দুষ্কৃতীরা। হামলাকারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে ঘটনাস্থলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় পারুল প্রধান (৫৫) নামে এক বৃদ্ধার। তিনি শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ মানস ভুঁইয়ার দিদি। জখম হয়েছেন আরও কয়েক জন।
গত কয়েকদিনে হলদিয়া শহর জুড়ে ‘দাদার অনুগামী’ ব্যানারে একাধিক কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন পুরসভার ২২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানস ভুঁইয়া। অভিযোগ, এর জন্য তাঁকে গত কয়েক দিন ধরেই শাসাচ্ছিলেন এলাকার কিছু তৃণমূলের লোকজন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সকালে শুভজিৎ ভুঁইয়া নামে শুভেন্দু ঘনিষ্ট আর এক কর্মী মেয়েকে টিউশন থেকে আনতে গেলে রাস্তায় তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশে অভিযোগের পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান শুভেন্দু অনুগামীরা। আর সেই সুযোগেই এলাকায় শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের ৮ থেকে ১০টি বাড়ি তৃণমূল কর্মীরা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।
মানসের বক্তব্য, ‘‘বাড়িতে হামলার ঘটনার খবর শুনে ছুটে এসেছিলেন আমার দিদি পারুল প্রধান (৫৫)। হামলাকারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে ঘটনাস্থলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিদি মারা যান। আমাদের বেশ কয়েকজন সমর্থক জখম হয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: ব্ল্যাকমেল, দর কষাকষিতে লাভ নেই, নাম না করে শুভেন্দু-বার্তা নেত্রীর
আরও পড়ুন: উত্তরকন্যা অভিযানে গ্যাস-জলকামান, রণক্ষেত্র শিলিগুড়ি, এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু
হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বর্তমানে ২২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এবং টাউন তৃণমূলের সহ-সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ ওই কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর নামে কটুক্তি করছিল। এই নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাঁদের সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়। দু'পক্ষ্যের মধ্যে বিবাদ হয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর বা মহিলার মৃত্যুর সঙ্গে এই ঝামেলার কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তাঁর আরও দাবি, মহিলা অসুস্থ ছিলেন। সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সেই নিয়ে অযথা রাজনীতি করার চেষ্টা চলছে।