Suvendu Adhkikari

নন্দীগ্রামে বন্ধ শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্র, মৌনী মিছিলে শুভেন্দু

বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ টেঙ্গুয়ায় শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্রে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। তাঁরা সকলেই ‘তৃণমূলের লোক’ বলে বিজেপি-র অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:২৬
Share:

শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ টেঙ্গুয়ায় শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্রে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। তাঁরা সকলেই ‘তৃণমূলের লোক’ বলে বিজেপি-র অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়া মোড়ের কাছে শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্রে হামলা চলেছিল গত শনিবার বিকেলে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার নীরব প্রতিবাদ মিছিল হল নন্দীগ্রামে। সেই মিছিলে পা মেলালেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু। শ’খানেক বিজেপিকর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হন তিনি।

Advertisement

শুভেন্দু টেঙ্গুয়া থেকে থানা মোড় পর্যন্ত মৌনী মিছিলে হেঁটে আসার পর থানার সামনের মঞ্চ ভাষণ দেন। সেখান থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘যারা হামলা চালিয়েছে তারা সামসাবাদ, ভুতারমোড় এলাকার বাসিন্দা। গত ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সভায় দেড় লক্ষ লোক জমায়েত হয়েছিল বলে ওরা ভয় পেয়েছে। ওরা মোদীজীর ফ্লেক্স পোড়াচ্ছে। অথচ লকডাউনে যখন মোদীজি গ্যাস দিয়েছিলেন, তখন সেটা ব্যবহারে লজ্জা লাগেনি। অনুদানের টাকা তুলতেও লজ্জা লাগেনি।’’ শুভেন্দুর দাবি, তাঁর সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীরা খুব ভয় পেয়েছে। তাই এখন সহায়তা কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। পরিবর্তে বিজেপি-র পার্টি অফিসে সবাইকে যোগাযোগ রাখতে বলেন তিনি।

বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ টেঙ্গুয়ায় শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্রে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। তাঁরা সকলেই ‘তৃণমূলের লোক’ বলে বিজেপি-র অভিযোগ। ভাঙচুর চালানোর সময় সহায়তা কেন্দ্রের ভিতরে কয়েকজন কর্মী ছিলেন। তাঁরা কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালান বলে বিজেপি-র দাবি।তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর টেঙ্গুয়ার কাছে ওই সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়।আগে এটাই ছিল বিধায়ক শুভেন্দুরঅফিস। প্রথমদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা শুভেন্দু সহায়তা কেন্দ্রকে সাদরে গ্রহণ করলেও পরে তিনি বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকে নন্দীগ্রামের একাংশ আর বিষয়টি ভাল চোখে দেখেনি।

Advertisement

এর মধ্যেই গত শুক্রবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর সভার আগেই মমতার ফ্লেক্স, তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছেঁড়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের দাবি, তাতেই ক্ষেপে ওঠেন স্থানীয় তৃণমূলকর্মীদের একাংশ। শনিবার সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। যদিও তৃণমূল নেতা শেখ সুপিয়ান তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।

আরও পড়ুন: গরুপাচার-কাণ্ডে ইডি তল্লাশি এনামুলের কলকাতার অফিসে

আরও পড়ুন: নীলবাড়ির লক্ষ্যে লকেটে ভরসা অমিত-দিলীপের, পেলেন বড় দায়িত্ব

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement