স্কুলে রান্না করা খাবার পরখ করছেন বিডিও। নিজস্ব চিত্র
‘দিদি’র নির্দেশ। তাই একই দিনে কার্যত একই সময়ে ব্লকের ১৭৮টি স্কুলে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করলেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। খতিয়ে দেখলেন মিড-ডে মিলের গুণমান।
জেলা সফরে এসে গত মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিড-ডে মিলের বিষয়ে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসনকে। তাঁর পরামর্শ ছিল, পুলিশ এবং সাংবাদিকেরাও পারলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে গিয়ে মিড-মিলের পরিদর্শন করতে পারেন। এর পরেই স্থানীয় বিডিও’র নেতৃত্বে মঙ্গলবার ব্লকের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে এক সঙ্গে অভিযান চালায় রামনগর-১ ব্লক প্রশাসন।
ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন বিডিও-সহ ব্লকের অন্য কর্মচারীদের নিয়ে ১৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনের জন্য দল তৈরি করা হয়। দুপুরে মিড-ডে মিল দেওয়ার সময়ে দলের সদস্যেরা হাজির হন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। দলে ছিলেন রামনগর, মন্দারমণি কোস্টাল, দিঘা এবং দিঘা মোহনা থানার ওসি-সহ সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত এলাকার গ্রাম-প্রধান, উপপ্রধানেরা।
এদিন বিডিও আশিস রায় নিজে বোধড়া পন্থেশ্বরী হাই স্কুল এবং প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলেন। সেখানে পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল ঠিকমত খাওয়ান হয় কি না, রাঁধুনিদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি। তারপর বিডিও অফিসে থেকে বাকি প্রতিষ্ঠানগুলির অভিযান নিয়ন্ত্রণ করেন। উল্লেখ্য, রামনগর-১ ব্লকে ১৭৮টি কেন্দ্রে মিড ডে চালু রয়েছে। এর মধ্যে ১০৭টি প্রাইমারি, ১৮টি হাই স্কুল, ৪০টি অঙ্গনওয়াড়ি, একটি হাই মাদ্রাসা, ১২টি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।
ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে কারা অভিযান করবে, সোমবার তাঁদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। সেই তালিকা মেনে এ দিন সকালে ব্লক অফিসের আধিকারিক, কর্মচারীরা মিড-ডে মিলের নমুনা সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে যান।’’ পরিদর্শনকারীরা মূলত মিড ডে মিলের মেনু, চাল, নুন, সর্ষের তেল পরীক্ষা করে দেখেন। রাঁধুনিরা সময়ে বেতন পান কি না, পরিকাঠামোগত কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, সে সব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন। এ দিনের অভিযানের পরে একটি রিপোর্ট তাঁরা ব্লক অফিসে জমা দেন বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর।
এ ব্যাপারে রামনগর-১ এর বিডিও আশিস রায় বলেন, ‘‘ব্যক্তিগতভাবে একটি স্কুলে গিয়েছিলাম। ওই স্কুলের মিড-ডে মিল পরিচালনা দেখে সন্তুষ্ট। তবে বাকি স্কুলগুলির কী হাল, তার সামগ্রিক অবস্থা জানার জন্য এমন অভিযান করা হল। অভিযানের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’