আগে থেকে বলা-কয়া ছিল না। বুধবার দুপুরে আচমকাই মেদিনীপুর সদর ব্লক অফিসে হাজির হলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী। খোঁজও নিলেন নানা প্রকল্পের। তার সঙ্গে ছিলেন মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষ। জেলাশাসককে হওয়ার পরে পি মোহন গাঁধী এই প্রথম মেদিনীপুর সদর ব্লক অফিসে এলেন। জেলাশাসক বলেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুরে আসার পরে দূরের দূরের ব্লকগুলোয় যাওয়া হয়েছে। কাছেরটাতেই আসা হয়নি। এই প্রথম এলাম।’’ মেদিনীপুরের (সদর) বিডিও ফারহানাজ খানম বলেন, ‘‘জেলাশাসক এসে সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখেছেন।’’
এ দিন দুপুরে ব্লক অফিসে প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন জেলাশাসক। ব্লকের কোন সরকারি দফতর কোথায় রয়েছে তা জানতে চান। অফিসগুলি সম্পর্কেও খোঁজ নেন। জেলাশাসকের চোখ চলে যায় অফিসের দেওয়ালে থাকা বিডিওদের নামের তালিকার দিকে। তিনি দেখেন, বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে- ও এক সময়ে এখানকার বিডিও ছিলেন। আরও কয়েকজন পদস্থ আমলার নামও ওই তালিকায় রয়েছে। যাঁরা এক সময়ে এখানকার বিডিও ছিলেন।
জেলাশাসককে বলতে শোনা যায়, ‘‘আমিও কেশপুরের বিডিও ছিলাম।’’ জেলাশাসক এসেছেন খবর পেয়ে বিডিও অফিসে আসেন ব্লকের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক ওপঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ। কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ জেলাশাসককে কিছু সমস্যার কথা জানান। সমস্যাগুলি শুনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেন জেলাশাসক। ব্লকের ‘পারফরম্যান্স’ কেমন সেটা জানতে চান বিডিও। জেলাশাসক জানিয়ে দেন, মেদিনীপুর সদর ব্লকের কাজ সন্তোষজনক।
জেলা প্রশাসনের এক সূত্রে খবর, জেলাশাসক বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের আগেই জানিয়েছিলেন, যে কাজে ফাঁকি চলবে না। প্রয়োজনে কাজ দেখতে কাউকে না- জানিয়ে তিনি এলাকায় পৌঁছে যাবেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আচমকা ব্লক অফিস পরিদর্শনে জেলাশাসক সেই কাজটাই করলেন।’’