চলছে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।
মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের সমস্ত বিধায়ক বা তৃণমূল নেতাই কি শুভেন্দু অনুগামী? জল মাপতে এ বার আসরে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। শনিবার বিকেলে জেলার তৃণমূল নেতাদের নিয়ে কোলাঘাটের একটি হোটেলে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন তিনি। বৈঠকে হাজির নেতাদের অধিকাংশই অধিকারী পরিবারের বিরোধী শিবিরের বলে রাজনৈতিক মহলের মত।
ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, চণ্ডীপুরের বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য, নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি শেখ সুপিয়ান, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নিগমের চেয়ারম্যান বিপ্লব রায়চৌধুরী, জেলা পরিষদের সদস্য গৌরমোহনদাস ঠাকুর, পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দ মিশ্র, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি চিত্ত মাইতি-সহ আরও অনেকে।
বৈঠকে উপস্থিত এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, আগামী দিনে পূর্ব মেদিনীপুরে কী ভাবে পথ চলবে তৃণমূল তারই স্ট্র্যাটেজি তৈরি হয়েছে। তবে বৈঠকে জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির অনেক নেতাকেই দেখা যায়নি। তাঁর মধ্যে রয়েছেন পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিধায়ক ফিরোজা বিবি, খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মন্ডল, উত্তর কাঁথির বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, পটাশপুরের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর। উল্লেখযোগ্য ভাবে বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন জেলার দুই সাংসদ শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী।
৭ ডিসেম্বরের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুরে সবা করবেন। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর সফরে কবে আসবেন, বা আদৌ আসবেন কি না সে বিষয়ে বৈঠকে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। সামনের মাসের প্রথম সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই বিষয়ে ঘোষণা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে জেলা তৃণমূল সূত্রে।