কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। —ফাইল চিত্র।
অচলাবস্থা চরমে উঠেছে কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। বকেয়া ডিএর দাবিতে প্রায় এক মাস ধরে কলেজে আন্দোলন করছেন শিক্ষকেরা। এর জন্য তাঁরা কোনও ক্লাস করছেন না। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন ছাত্ররা। শিক্ষকেরা মাঝে অনলাইন ক্লাসের কথা বললেও তা পড়ুয়ারা মেনে নেননি। অবিলম্বে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ক্লাস চালুর দাবিতে শনিবার কলেজে তালা ঝুলিয়ে দিলেন পড়ুয়ারাই।
কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষকদের সংগঠন ‘কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর দাবি, শিক্ষকেরা কেন্দ্রের থেকে ৭৬ শতাংশ ডিএ কম পাচ্ছেন। ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ডিএ প্রদান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টারের অপসারণ এবং কলেজের গভর্নিং বডি পুনর্গঠনের দাবিতে দুর্গাপুজোর ১৫ দিন আগে থেকেই পাঠদান বন্ধ রেখেছেন কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষকেরা।
কলেজটি ‘বিদ্যাসাগর সোসাইটি ফর ইন্টিগ্রেটেড লার্নিং’ এর মাধ্যমে পরিচালিত। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী এই সোসাইটির চেয়ারম্যান। এই কলেজে পড়তে গেলে পড়ুয়াদের মোটা অঙ্কের ফি দিতে হয়। বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করে ভর্তি হওয়ার পরও প্রতিদিন ক্লাস না করে ফিরে আসতে হচ্ছে ১৩০০ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁরা দিশেহারা। অথচ, কর্তৃপক্ষ নির্বিকার বলে অভিযোগ। কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধিকর্তা শৈবাল কুমার প্রধান বলেন,"ছাত্ররা কলেজে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।"
অন্য দিকে, কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক স্বদেশ মাজি বলেন,"আমরা এত দিন ধরে আন্দোলন করছি, অথচ কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করছেন না। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বন্ধ থাকবে।"
প্রাক্তনী সম্মেলন
পাঁশকুড়া: পাঁশকুড়া বনমালী কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রাক্তনীদের নিয়ে অনুষ্ঠান হল। অনুষ্ঠানে একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। স্মরণিকায় কলেজের ১৯৮৭ থেকে সমস্ত প্রাক্তনীদের নাম, ঠিকানা ও কর্মস্থলের উল্লেখ রয়েছে। স্মরণিকাটি প্রকাশ করেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সমরেশ ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাটনগর পুরস্কার জয়ী বিজ্ঞানী স্বাধীন কুমার মণ্ডল, প্রাক্তনী কমিটির আহ্বায়ক শিক্ষক আলোক মাইতি, সম্পাদক এন সি মাইতি প্রমুখ।