প্রথা: মাদল বাজিয়ে চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল
অলচিকি লিপির পাঠ্যবই এখনও হাতে আসেনি। অলচিকিতে পড়ানোর স্থায়ী শিক্ষকও নেই। প্রতিবাদে তাই স্কুলের গেটে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন অলচিকিতে পাঠরত ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকেরা। ‘ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল’-এর নেতৃত্বে শালবনির সীতানাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার থেকে এই বিক্ষোভ অবস্থান চলছে। আদিবাসীদের প্রথা মেনে অস্ত্র হাতে নিয়ে, মাদল বাজিয়ে চলছে বিক্ষোভ। তার জেরে স্কুলে ঢুকতে পারছেন না ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ‘ভারত জাকাত মাঝি পরগনার জেলা নেতা রবিন টুডু বলেন, ‘‘অলচিকির বই ও স্থায়ী শিক্ষকের দাবিতে গত ডিসেম্বরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে ঘেরাও করেছিলাম। তখন আশ্বাস দিলেও পরে আমাদের দাবি মেনে যথাসময়ে বই দেওয়া হয়নি, স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। তাই বিক্ষোভ অবস্থানের কর্মসূচি নিয়েছি।’’
আদিবাসী ছেলেমেয়েদের জন্য অলচিকিতে পড়াশোনার ব্যবস্থা হয়েছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। ২০১৮ সালে অলচিকিতে প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে পড়ুয়ারা। কিন্তু বই হাতে না পাওয়ায় এবং অলচিকি জানা স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। শালবনির এই বিদ্যালয়েও যেমন অলচিকির কোনও স্থায়ী শিক্ষক নেই। আংশিক সময়ের শিক্ষিকা মাতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ায় ক্লাসই হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমলেশ মাহাতো জানালেন, স্থায়ী শিক্ষক নেই ঠিকই। তবে দু’জন আংশিক সময়ের শিক্ষক অলচিকিতে পড়াচ্ছেন। আর অষ্টম শ্রেণির নতুন বই না এলেও পুরনো বই দিয়ে পড়াশোনা চালানো হচ্ছিল। তবে গত সপ্তাহে কিছু নতুন বই এসেছে বলে স্কুল সূত্রে খবর।
এ প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমর শীলের বক্তব্য, ‘‘বেশিরভাগ বই দেওয়া হয়েছে। আর বাকি বই শীঘ্রই দিয়ে দেওয়া হবে।’’ তবে শিক্ষক নিয়োগে একটু সময় লাগবে বলে অমরবাবু জানান।