আমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হল এক প্যারা মেডিক্যালের এক ছাত্রের দেহ। বৃহস্পতিবার ভোরে কেশিয়াড়ির কুমারহাটি মৌজায় বাড়ির কাছেই আশুতোষ মান্না (২৩) নামে কলকাতার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে প্যারা মেডিক্যাল পাঠক্রমে চূড়ান্ত বর্ষের ওই ছাত্রকে গাছে ঝুলতে দেখা যায়। পড়শি ও পরিজনেরা তাঁকে নামিয়ে কেশিয়াড়ি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাড়ে তিন বছর ধরে কলকাতায় থেকে পড়াশুনো করছিলেন আশুতোষ। সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্থায় চাকরির জন্য আবেদন করছিলেন। গত শুক্রবার একটি সংস্থায় ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর মঙ্গলবার বাড়িতে এসেছিলেন। বুধবার রাতে ভাগ্নে সৌম্যদীপ মান্নাকে নিয়ে নিজের ঘরে শুতে যান তিনি। তবে ভোরে উঠে আশুতোষকে বাড়িতে দেখতে পাননি পরিজনেরা। পরে বাড়ির অদূরে আমগাছের ডালে গলায় দড়ির ফাঁসে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে।
ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন আশুতোষের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী সুধীর মান্না ও মা গৌরীদেবী। আশুতোষের মেজ জামাইবাবু দিলীপ মহাপাত্র বলেন, “আমরা কিছু বুঝতে পারছি না। বেশ কিছু চাকরির পরীক্ষা ও দিয়েছিল। তবে গত শুক্রবারের ইন্টারভিউ ভাল হয়নি বলে মাকে জানিয়েছিল।’’ পুলিশ জানিয়েছে, আশুতোষের বাড়িতে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ছাত্র। সুইসাইড নোটে আশুতোষের হস্তাক্ষরে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। এ ক্ষেত্রে চাকরি না পাওয়া জনিত অবসাদ বা প্রণয় ঘটিত কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।