—ফাইল চিত্র।
জেলায় নেই পরীক্ষা কেন্দ্র। তাই আজ, রবিবারের মেডিক্যালে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা ‘নিট’-এ বসতে শনিবার থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রের এলাকায় রওনা দিচ্ছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। পরীক্ষার দিন তাঁদের গন্তব্য পৌঁছে দিতে বাসের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। তবে জেলার বহু পরীক্ষার্থী সেই বাসের ভরসায় না থেকে শনিবারই নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে রওনা দিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতিতে সতর্কতা বিধি মেনে সারা দেশ জুড়ে পরীক্ষা আয়োজন করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এ রাজ্যে কলকাতা, হাওড়া, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তরবঙ্গে পরীক্ষা কেন্দ্রের আয়োজন করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, তমলুক, দিঘা, খেজুরি, এগরা, ভগবানপুরের পরীক্ষার্থীদের কলকাতা, হাওড়া, খড়্গপুর, মেদিনীপুরে বিভিন্ন কেন্দ্রে পৌঁছতে গড়ে ১০০-১৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি হতে হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য রবিবার ভোর থেকে দিঘা এবং হলদিয়া থেকে অতিরিক্ত বাস চালানোর ঘোষণা করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।
দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার পরিচালণ পর্ষদের সদস্য সুকুমার দাস বলেন, ‘‘হলদিয়া থেকে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে কলকাতাগামী একটি বাস সকাল ৬টায় এবং একটি বাস সাড়ে ৬টায় ছাড়বে। হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক হয়ে একটি বাস ছাড়বে সকাল ৬টায়। দিঘা থেকে ভোর ৪টা ২০ মিনিট থেকে কলকাতাগামী অতিরিক্ত বাস চলাচল করবে। পরীক্ষার্থীরা অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে বিনা ভাড়ায় যাতায়াত করতে পারবেন। তবে অভিভাবকদের ভাড়া লাগবে।’’
পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টো নাগাদ। তবে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পরীক্ষার্থীদের ধাপে ধাপে সকাল ১১টা, ১২টা এবং দুপুর ১টার মধ্যে কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে কেন্দ্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছানোর জন্য বহু পরীক্ষার্থীকেই ভোরে বাড়ি থেকে রওনা দিতে হবে। তাই অনেকেই আগের দিন শনিবারি রওনা দিচ্ছেন। কেন্দ্রের কাছাকাছি হোটেল বা আত্মীয় বাড়িতে থাকছেন তাঁরা। অনেকে আবার নিজেরাই গাড়ি ভাড়া করছেন।
মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়ার এক পরীক্ষার্থীর কেন্দ্র পড়েছে খড়্গপুরের সালুয়া কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে। পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সৌমেন গজেন্দ্রমহাপাত্র বলেন, ‘‘দুপুর ১ টার মধ্যেই পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে রিপোর্টিং করতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের জেলা থেকে কেন্দ্রে যাওয়ার সরাসরি বাস নেই। তাই তিন হাজার টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করেছি।’’ তমলুকের পদুমবসানের এক পরীক্ষার্থীর কেন্দ্র আবার কলকাতার সোনারপুরে। পরীক্ষার্থীর অভিভাবক ইয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে পরীক্ষা কেন্দ্র। সকাল ১১টায় কেন্দ্রে হাজির হতে বলা হয়েছে। বাসে কলকাতায় গিয়ে ফের হাড়ি পরিবর্তন করতে হবে। এত ঝক্কি এড়াতে নিজেরাই গাড়ি ভাড়া করে শনিবার বিকেলে আমরা সোনারপুরে চলে এসেছি।’’
রবিবার বাসের কোনও সমস্যা থাকবে না বলে জানাচ্ছেন জেলার বাস মালিকেরা। জেলা বাস ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক মহম্মদ সামসের আরেফিন বলছেন, ‘‘হলদিয়া, দিঘা ও এগরা থেকে কলকাতা এবং মেদিনীপুর রুটে অন্য দিনের রবিবারও সব বাস চলবে।’’