গোষ্ঠী কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। দলবিরোধী কাজ করলে রেয়াত করা হবে না কাউকেই। এই বার্তা দিয়ে শক্ত হাতে দলের রাশ ধরতে চাইছেন তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব। ইতিমধ্যে তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি পদে রদবদল হয়েছে। অজিত দে-র জায়গায় নতুন সভাপতি হয়েছেন দিলীপ মাঝি। দিলীপবাবু ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি। অন্য দিকে, দলবিরোধী কাজের জন্য কেশপুরের শীর্ষার নেতা শেখ সফিউলকে ছ’মাসের জন্য দল থেকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। এ বার জেলার আরও একাধিক ব্লক এবং শহরে তৃণমূলের দলীয়স্তরের রদবদল আসন্ন বলে দলেরই এক সূত্রে খবর। তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি মানছেন, “কিছু পরিবর্তন হতে পারে। রাজ্য নেতৃত্ব যেমন নির্দেশ দেবেন, জেলায় তেমনই পদক্ষেপ করা হবে। কোনও বেচাল বরদাস্ত করা হবে না।”
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। তার আগে দলে শুদ্ধিকরণ আনতে সপ্তাহ কয়েক আগেই মেদিনীপুরে এসে সতর্কবার্তা শুনিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীও। দলের এক সূত্রের দাবি, আপাতত একাধিক ব্লক এবং শহরে সভাপতি পদে পরিবর্তন আসতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে শহর মেদিনীপুরও। এখন মেদিনীপুর শহরে দলের সভাপতি পদে রয়েছেন আশিস চক্রবর্তী। আশিসবাবু গড়বেতার বিধায়ক, জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা। দলের এক সূত্রের দাবি, আশিসবাবুর বদলে দলের নতুন শহর সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন শহরের এক প্রবীণ নেতা।
খড়্গপুর-১ ব্লকে আবার তৃণমূলের ব্লক সভাপতির পদ শূন্য রয়েছে। মাস কয়েক আগে শক্তি মণ্ডল এই পদ থেকে সরে যান। তারপর দুই যুগ্ম আহ্বায়ক ব্লকের দলীয় কাজকর্ম দেখভাল করছেন। তৃণমূলের এক জেলা নেতা মানছেন, “শুধু খড়্গপুর-১ নয়, আরও কয়েকটি ব্লকে কিছু রদবদল হতে পারে। তবে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।”