ফাইল চিত্র।
মেদিনীপুর: ইভিএমের পাশাপাশি কোন জেলায় কত ব্যালট বাক্স, কী অবস্থায় রয়েছে, তার তথ্য চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জেলাগুলির কাছ থেকেই এ তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে কি পুরভোট ব্যালটেই হবে— জল্পনা বিভিন্ন মহলে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার বলতে শোনা গিয়েছে, রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে সব ভোট করাবে, তা আর ইভিএমে হবে না। ফিরিয়ে আনা হবে ব্যালট। গত লোকসভা ভোটের সময় থেকেই ব্যালটের দাবি তুলেছিলেন মমতা।
কমিশনের এক সূত্রের অবশ্য দাবি, এটা রুটিন পদক্ষেপ। এর সঙ্গে পুরভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্যের পুরসভাগুলির ভোট ইভিএমে হবে, না কি ব্যালটে, তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যে বেশিরভাগ জেলাই কমিশনে জানিয়েছে, কোথায় কত ব্যালট বাক্স রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকও মানছেন, ‘‘ব্যালট বাক্স সংক্রান্ত যে তথ্য কমিশন জানতে চেয়েছিল, তা জানানো হয়েছে।’’ তথ্য পাঠানোর আগে জেলায় ব্যালট বাক্সগুলির পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, প্রস্তুতির মূল কাজগুলি সেরে রাখা হচ্ছে। এমনটাও হতে পারে, বড় পুরসভাগুলির ভোট ইভিএমে এবং বাকি ছোট পুরসভাগুলির ভোট ব্যালটে হবে। কমিশনের এক সূত্রের দাবি, পুরভোট ব্যালটে হবে না ইভিএমে, সে নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে। কমিশনের এক আধিকারিকের দাবি, ‘‘জেলাওয়াড়ি ব্যালট বাক্সগুলির ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হয়েছে। এটি রুটিন ভেরিফিকেশন।’’
পুরভোট কি তাহলে ব্যালটেই হবে? সদুত্তর এড়িয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক আশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ব্যালট ফেরানোর দাবি আমাদের দল আগেই জানিয়েছে।’’ বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তুষার মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘ইভিএম না ব্যালটে ভোট, সেটার থেকে জরুরি পুরভোটে কমিশনের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।’’ রাজ্যে শেষ ব্যালটে ভোট হয়েছিল গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ২০১৮ সালের সেই নির্বাচনে বিরোধীদের অভিযোগের অন্ত ছিল না। ব্যালট লুট ও গণনাকেন্দ্রে ঢুকে ছাপ্পার অভিযোগও উঠেছিল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।