Srikanta Mahato

আজই কি মমতার মুখোমুখি শ্রীকান্ত

মন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিয়ো ফাঁসের পরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শালবনির বিধায়ককে শো-কজ় করেছিলেন দলের জেলা নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৫৯
Share:

রেল শহরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া হোর্ডিং দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র

মঙ্গলবারই কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হবেন ক্রেতা সুরক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো? ফের কি তাঁকে সতর্ক করে দেবেন নেত্রী? জল্পনা জেলার রাজনৈতিক মহলে, তৃণমূলের অন্দরেও। দলের এক সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে পারেন শ্রীকান্ত।

Advertisement

সম্প্রতি তৃণমূলের তারকা সাংসদ, বিধায়ক থেকে দলের একাংশ জেলা নেতা-নেত্রীর সম্পর্কে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান শ্রীকান্ত। কিছু কর্মীকে নিয়ে এক পাড়াবৈঠকে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘জুন মালিয়া, সায়নী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরতরা লুটেপুটে খাচ্ছে। এঁরা যদি সম্পদ হয়, তাহলে তো আর পার্টি করা যাবে না!’’ পাশাপাশি, নিশানা করেছিলেন উত্তরা সিংহ, নেপাল সিংহ, সন্দীপ সিংহের মতো জেলা নেতৃত্বকেও। পশ্চিমাঞ্চল নাগরিক সমাজ, পশ্চিমাঞ্চল কৃষক সমাজ, পশ্চিমাঞ্চল বুদ্ধিজীবী সমাজ তৈরির কথাও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। দাবি করেছিলেন, দল এখন খারাপ লোকেদের কথা শুনছে। মন্ত্রীর বক্তব্যের ভিডিয়ো ফাঁসের পরে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শালবনির বিধায়ককে শো-কজ় করেছিলেন দলের জেলা নেতৃত্ব। এরপর দলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন শ্রীকান্ত।

তবে বেজায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রীও। মন্ত্রিসভার গত বৈঠকে তাঁর নির্দেশ ছিল, মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়ার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে শ্রীকান্তকে। সে দিন মুখ্যমন্ত্রী না কি শ্রীকান্তকে বলেছিলেন, ‘‘এমনভাবে ক্ষমা চাইবে, যেন জুন আমায় ফোন করে বলে যে, তুমি ক্ষমা চেয়েছ।’’ জুনের কাছে ‘নত’ হননি শ্রীকান্ত। তবে তৃণমূলের পশ্চিম মেদিনীপুরের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, ওই পর্ব মিটে গিয়েছে।

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতির পদটি শূন্য রয়েছে। জেলা সভাধিপতির নাম চূড়ান্ত হওয়ার কথা। সেই সূত্রেই আজ, মঙ্গলবার দুপুরে খড়্গপুর শিল্পতালুক চত্বরে থাকা একটি কটেজে বৈঠক করবেন মমতা। থাকার কথা পূর্ব মেদিনীপুরের ৯ তৃণমূল বিধায়ক, ৫৬ জন জেলা পরিষদ সদস্যের। দলের এক সূত্রে খবর, বৈঠকে থাকতে পারেন মন্ত্রী অখিল গিরি, বিপ্লব রায়চৌধুরী, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, শিউলি সাহা, শ্রীকান্ত মাহাতোরাও। থাকবেন বিধায়ক অজিত মাইতি। সূত্রের খবর, অজিত এই কর্মসূচি আয়োজনের ‘নোডাল পলিটিক্যাল পার্সন’। মঙ্গলবারের বৈঠকে যাচ্ছেন? শ্রীকান্তর সংক্ষিপ্ত জবাব, ‘‘যেতে পারি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement