সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
নতুন বছরের শুরুতেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির চাপান-উতোর শুরু হল। পোস্টার সেঁটে বিজেপি দাবি করেছে, গত লোকসভা ভোটের প্রচারে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। তার বাস্তবায়ন দূরের কথা, কোনও পরিকল্পনাই করেনি তারা। এই নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও তুলেছে পদ্ম শিবির। যদিও বিজেপির দাবি মানেনি তৃণমূল। তাদের পাল্টা দাবি, ঘোষণা মতো ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জন্য ‘মনিটরিং কমিটি’ গড়ে দিয়েছেন। এখন পুরোদমে জমির মাপজোক চলছে।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণের দাবি দীর্ঘদিনের। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের সংঘাত নতুন নয়। তার জেরে আটকে ছিল ঘাটালের ওই প্রকল্প। গত লোকসভা ভোটের আগে আরামবাগের এক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকার একাই করবে। ওই সময়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের ঘাটালের ওই প্রকল্প শুরুর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই রাজ্য সরকার কবে এই প্রকল্পের শিলান্যাস করবে তা নিয়ে কৌতূহল বাড়তে থাকে। কী ভাবে কাজ হবে, শহরের কোথায় কী হবে, কোন কোন জমি প্রয়োজন এই সব নানান বিষয় নিয়েও আলোচনা চলছে। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট মনে করিয়ে দিচ্ছেন, “লোকসভা ভোটের আগে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান প্রকল্প শুরুর কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। তার জন্য যত টাকা লাগবে, তা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বছর শেষ হলেও সেই প্রতিশ্রুতির কোথায় কী? কোনও পরিকল্পনাও তো হয়নি।” তাঁর দাবি, “ঘাটালের এই প্রকল্প বহু টাকার বিষয়। কেন্দ্র টাকা না দিলে রাজ্য করতে পারবে না। আমরা চাই এটি কার্যকর হোক। কেন্দ্র-রাজ্য মিলে হোক।”
পিংলার বিধায়ক তথা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মনিটরিং কমিটির সদস্য অজিত মাইতি অবশ্য বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্প রূপায়ণের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরোদমে জমির মাপজোক-সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া চলছে।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এটা টের পেয়েই মাথা ঘুরে গেছে বিজেপির। তাই প্রলাপ বকতে শুরু করেছে তারা।” ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক তথা ওই কমিটির আর এক সদস্য শঙ্কর দোলই বলেন, “প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট কী কী কাজ হবে এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় টাকার কথাও ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কাজও চলছে। এরপরে ঘাটাল বিজেপি আর কী চাইছে!”