খড়্গপুর রেলস্টেশন থেকে উদ্ধার শিশু পেল বার্সেলোনার মা, আবার একটি দত্তক মেদিনীপুরে

প্রশাসন সূত্রে খবর, বার্সেলোনার বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সি ওই মহিলা সন্তান দত্তক নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি একটি শিশুকে দত্তক নিয়েছিলেন ইটালির এক দম্পতি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫৮
Share:

জেলাশাসকের অফিস থেকে শিশুটির ভিসা এবং অন্যান্য কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয় স্পেনের মহিলার হাতে। —নিজস্ব চিত্র।

ছয় বছরের এক অনাথ শিশুকে দত্তক নিলেন স্পেনের বার্সেলোনার এক মহিলা। গত বছর এপ্রিলে খড়্গপুর রেলস্টেশন থেকে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রশাসন। তাকে রাখা হয় মেদিনীপুর সরকারি বিদ্যাসাগর বালিকা ভবনে।

Advertisement

নিয়ম অনুযায়ী, সরকারি পোর্টালে শিশুটির বিস্তারিত বিবরণ দেয় প্রশাসন। তার পর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেন বার্সেলোনার ওই বাসিন্দা। তিনি একটি সরকারি পদে কর্মরত। অথোরাইজ়ড ফরেন অ্যাডপশন এজেন্সি (এএফএএ)- র মাধ্যমে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসন বিভিন্ন সরকারি প্রক্রিয়া শেষ করে। ইচ্ছুক ‘সিঙ্গল মাদার’-এর পরিবারের খোঁজখবর নেওয়ার পর ভিসা তৈরি করা হয় শিশুটির। সোমবার মেদিনীপুরে এসে পৌঁছোন স্পেনের ওই মহিলা। সোমবার জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি তাঁর চেম্বারে শিশুটির কাগজপত্র, ভিসা ওই মহিলার হাতে তুলে দেন।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বার্সেলোনার বাসিন্দা ৪৭ বছর বয়সি ওই মহিলা সন্তান দত্তক নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন। এর আগে চলতি বছরের গত ১৫ জানুয়ারি সাড়ে তিন বছরের একটি সন্তানকে দত্তক নিয়েছিলেন ইটালির এক দম্পতি। জেলাশাসক বলেন, ‘‘মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন থেকে এখনও পর্যন্ত ৬২টি শিশুকে দত্তক দেওয়া হল। দেশের মধ্যে ৪১টি শিশু দত্তক নেওয়া হয়েছে। ৬টি শিশুকে দত্তক নিয়েছেন বিদেশিরা। এখনও সরকারি হোমে ছয়টি শিশু রয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘শুধু শিশুদের দত্তক দেওয়াই নয়, তাদের দেখভালেও নজরদারি চালানো হয় প্রশাসনের তরফে।’’

Advertisement

বার্সেলোনার ওই মহিলা বলেন, ‘‘খুবই ভাল লাগছে। আমার বাড়িতে পরিবারের অন্যান্য সদস্য রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবে আমার সন্তান। ওকে স্পেনে স্কুলে ভর্তি করব। পড়াশুনা করে বড় হবে। দেখভালে কোনও খামতি থাকবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement