ঢোল বাজিয়ে প্রচার। নিজস্ব িচত্র
বছরের ‘বিশেষ’ দিনটা দূরেই কাটল আদরের জামাইদের। লকডাউনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। ফলে ইচ্ছা থাকলেও জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছতে পারলেন না অনেক জামাই-ই। কেউ আবার ভিডিয়ো কলে ষষ্ঠী সারলেন। কোথাও আবার ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে বাইরের কাউকে গ্রামে ঢুকতে নিষেধ করা হল। ফলে, অনাদরেই রইলেন এলাকার জামাইরা।
কেশিয়াড়ির নছিপুর পঞ্চায়েতের ডাডরা গ্রামে বুধবার ঢোল পিটিয়ে চলে প্রচার। যার সারকথা, বাইরের জামাইরা গ্রামে আসতে পারবেন না। এই গ্রামে এখনও ঢ্যাঁড়া পিটিয়ে গ্রাম কমিটির সিদ্ধান্ত জানানোর রীতি রয়েছে। বুধবার ছিল জামাইষষ্ঠী স্পেশাল ঢ্যাঁড়া। তার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে দেন এক গ্রামবাসী। গ্রামবাসীদের একাংশ বলছেন, পরিযায়ীরা ফিরছেন। তাঁদের কেউ নিভৃতবাসেও থাকছেন। এর মধ্যে জামাইষষ্ঠীতে জামাইরা বাইরে থেকে গ্রামে এলে বিধিনিষেধ মানা যাবে না। ফলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে। বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য কাঞ্চন ঘোষের কথায়, ‘‘গ্রামের সকলের সিদ্ধান্ত মেনেই এই পদক্ষেপ। এতে অনেকটাই ফল মিলেছে।’’
কয়েকদিন আগেই গিয়েছে ইদ, তারপর আনন্দহীন জামাই ষষ্ঠী। তবে এর মধ্যে অনেকে রসিকতা করে বলছেন, ‘‘অনেক শ্বশুরের খরচ বেঁচে গেল। এটাই বা কম কি?’’ যদিও কেশিয়াড়ির বিডিও সৌগত রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এটা একেবারে স্থানীয়দের সিদ্ধান্ত।’’
অনেক জামাই আবার মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার উপহার পেয়েছেন। মেদিনীপুরের বাসিন্দা মণিকাঞ্চন রায়ের শ্বশুরবাড়ি ডেবরার অর্জুনিতে। স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা, মেয়ে আরুষিকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হয়নি। শাশুড়ি শিপ্রা মাইতির পরামর্শে আরুষির কাছেই ফোঁটা নিয়েছেন মণিকাঞ্চন। মণিকাঞ্চনের কথায়, ‘‘মেয়ে তো মায়ের মতোই। তাই ওর কাছেই ফোঁটা নিয়েছি।’’ প্রতিবারের মতো এবারও মামিশাশুড়ি মানসী ঘোষের থেকে ফোঁটা নিয়েছেন মেদিনীপুরের দেবব্রত দুয়ারি। উপহারে পেয়েছেন মাস্ক, স্যানিটাইজ়ারও।