Snake Bite

করোনা ভয়, রেফার হয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে না সর্পদষ্টের

প্রসঙ্গত, লকডাউনে চিকিৎসা পরিষেবা যেমন বিঘ্নিত হয়েছে। তেমনই প্রয়োজনে মিলছে না অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ০১:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে সাপে কাটা রোগীকে রেফার করা হল তমলুকে। সোমবার রাতের ঘটনা। লকডাউনের সময় এমনিতেই যানবাহন অমিল। সে ক্ষেত্রে সর্পদষ্ট রোগীকে নিয়ে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে হাসপাতালে এলেও প্রাথমিক চিকিৎসার তমলুক জেলা হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়।

Advertisement

রাতেই এক পরিচিতির গাড়িতে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যান রোগীর পরিবারের লোকজন। হলদিয়া হাসপাতাল থেকে কেন অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হল না? এর জবাবে রোগীর পরিবারের তরফে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের আতঙ্কে তাঁরা অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীকে নিয়ে যেতে চাননি।

প্রসঙ্গত, লকডাউনে চিকিৎসা পরিষেবা যেমন বিঘ্নিত হয়েছে। তেমনই প্রয়োজনে মিলছে না অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। ইতিমধ্যেই এই অভিযোগে এবং প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসকদের রোগী দেখা শুরু করার দাবিতে কোলাঘাটের বিডিওকে স্মারকলিপি দিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।

Advertisement

হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার সুমনা দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘হাসপাতালে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভেনম মজুত রয়েছে। তা দিয়ে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু মেডিসিন বিভাগের কোনও চিকিৎসক না থাকায় রোগীকে তমলুক হাসপাতালে রেফার করা হয়।’’

মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে খবর, সুতাহাটার কাশীপুরে সোমবার রাত দশটা নাগাদ সর্পদষ্ট হন পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার স্কুলশিক্ষক বরুণ দাস। পরিবার সূত্রে খবর, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে বাড়ির কাছে রাস্তায় হাঁটার সময় তাঁকে সাপে কামড়ায়। রাতেই যোগাযোগ করা হয় সুতাহাটা আমলাট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে বলা হয়, অ্যান্টিভেনম নেই। বরুণবাবুকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।

রোগীর পরিবারের তরফে সন্দীপন দাস জানান, হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু মেডিসিনের কোনও চিকিৎসক না থাকায় রেফার করা হয় তমলুকে। কিন্তু অত রাতে তমলুকে নিয়ে যাওয়া হবে কী ভাবে? শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসেন কাশীপুরের বাসিন্দা ফারুক আলি। তিনি তাঁর গাড়িতে বরুণবাবুকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতালে সূত্রে জানানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement