সিসি ক্যামেরায় নজরদারি, ধূমপান করলেই জরিমানা  

ক্যামেরার মাধ্যমে চলছে অফিস চত্বরে কে বা কারা ধূমপান করছেন, সেই নজরদারিও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গোয়ালতোড় শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৫৮
Share:

সতর্কতা: ব্লক অফিস চত্বরে বসানো হয়েছে বোর্ড। নিজস্ব চিত্র

আশপাশে কেউ নেই। ভাবছেন, কেউ দেখছে না, সুযোগ বুঝে চট করে একটু সুখটান দিয়ে নিই...। সে উপায় নেই! ব্লক অফিস এলাকায় কেউ ধূমপান করছেন কি না, দেখার জন্য চলছে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি।

Advertisement

ব্লক অফিসে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল, অফিসের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে। সার্বিক নজরদারির পাশাপাশি সেই ক্যামেরার মাধ্যমে চলছে অফিস চত্বরে কে বা কারা ধূমপান করছেন, সেই নজরদারিও। আদতে, বারবার বলেও ব্লক অফিস এলাকায় প্রকাশ্যে ধূমপান বন্ধ করা যায়নি। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ বার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে গড়বেতা ২ ব্লক প্রশাসন। ব্লক অফিস চত্বরে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই বোর্ডে লেখা হয়েছে ব্লক অফিসে প্রকাশ্যে ধূমপান করলে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে।

জানা যাচ্ছে, বিডিওর নির্দেশে ব্লক অফিসের বিভিন্ন বিভাগের সামনে টাঙানো হয়েছে এই বোর্ড। এতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিবোধ করলেও, বিপদে পড়েছেন ধূমপায়ীরা! বিপদের কারণ হল সিসি ক্যামেরায় নজরদারি।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে বিডিও সোফিয়া আব্বাস বলেন, ‘‘প্রকাশ্যে ধূমপান করা সরকার তো আগেই বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও অভিযোগ আসছিল। ব্লক প্রশাসন থেকে প্রত্যেককে বলে দেওয়া হয়েছিল, ব্লক অফিস তো বটেই প্রকাশ্যেও ধূমপান করা চলবে না। কিন্তু কিছুতেই আটকানো যাচ্ছিল না। তাই এই কড়া পদক্ষেপ করে ব্লক অফিসে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’’ বিডিও আরও বলেন, ‘‘ব্লক অফিসে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তাই অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রকাশ্যে ধূমপায়ীদের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।’’

ব্লকের সমাজকল্যাণ আধিকারিক সুব্রত বাজপেয়ী বলেন, ‘‘জরিমানার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে ব্লক অফিস চত্বরে ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর এলাকায় ধূমপানের প্রবণতা অনেকটাই কমেছে।’’

ব্লক অফিসে দীর্ঘদিন কাজ করা এক অফিসার বলেন, ‘‘কড়াকড়ির পর এ বার যদি ব্লক অফিসে বিড়ি-সিগারেট খাওয়া কমে!’’ তবে এই নিষেধাজ্ঞায় মন খারাপ ব্লক অফিসের কয়েকজন সরকারি কর্মীর। তাঁদের কথায়, ‘‘কাজের চাপ কমাতে অনেক সময় ধূমপান করতে হয়। এখন তো সেটাও বন্ধ হয়ে গেল! একদিকে কাজের চাপ বাড়ছে, অন্যদিকে ধূমপানও করা যাবে না। কী যে করি!’’

উল্লেখ্য, ২০০১ সাল থেকে রাজ্যে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়। ২০০৩ সালে সারা দেশে কোটপা আইন (সিগারেট অ্যান্ড টোবাকো প্রোডাক্ট অ্যাক্ট) চালু হয়। বর্তমান রাজ্য সরকারও প্রকাশ্যে ধূমপানের উপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। তবুও রোখা যায়নি ধূমপান। কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে গুটখা, তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিয়েও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement