‘ব্রাত্য’ দিবাকর, হাত সরালেন শিশির

কাটমানি ইস্যুতে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই পঞ্চায়েত সমিতিরই খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৩৭
Share:

কুরবান স্মরণে শহিদ বেদীতে প্রণাম শিশিরের। নিজস্ব চিত্র

কয়েকদিন আগে নাম না করে তৃণমূল নেতা দিবাকর জানাকে ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ আখ্যা দিয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী। এ বার মঞ্চে দিবাকরের বাড়ানো সৌজন্যের হাত দেখে নিজের হাত গুটিয়ে নিয়ে তাঁর প্রতি কড়া মনোভাব দেখালেন শিশিরবাবু। যদিও দিবাকরের দাবি তাঁকে শুধুমাত্র সামনে থেকে সরে যেতে বলেন জেলা সভাপতি।

Advertisement

কাটমানি ইস্যুতে শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই পঞ্চায়েত সমিতিরই খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জয়দেব বর্মন। দিবাকরের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও দলীয় স্তরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। মেচেদা এলাকায় দিবাকরের নামে কাটমানি পোস্টারও পড়েছিল। সূত্রের খবর জয়দেব ছাড়াও দলের একাধিক নেতা দিবাকরের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সোচ্চার হন জেলা নেতৃত্বের কাছে। তারপর থেকে অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় দিবাকরের। দলের এক নেতার কথায়,দিবাকরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি দল ভালভাবে দেখছে না। কুরবান শা খুনের পর দিবাকর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে জেলার এক নেতার কাছে আবেদন জানান বলেও সূত্রের খবর।

ঠিক কী বলেছিলেন দিবাকর? জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা-------বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি বলেন, ‘‘কুরবান খুন হওয়ার পর দিবাকর আমার কাছে নিরাপত্তারক্ষী চেয়ে উপর মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আবেদন করেছিলেন।’’ ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগে শিশিরবাবু বলেন, ‘‘দুর্নীতিগ্রস্তদের নিরাপত্তারক্ষী প্রয়োজন হয়।’’ জেলা সভাপতির এমন মন্তব্য দিবাকরের প্রতি অনাস্থা বলেই মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

এ দিন মাইশোরা বাজারে কুরবানের স্মরণসভায় শিশিরবাবু আসার অনেক আগেই মঞ্চে হাজির হন দিবাকর। মঞ্চের বাঁদিকে চেয়ারে বসেছিলেন দিবাকর। বিকেল ৫ টা নাগাদ শিশিরবাবু মঞ্চে এসে উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করলেও দিবাকরের সঙ্গে তাঁকে কোনওরকম সৌজন্য বিনিময় করতে দেখা যায়নি। বক্তৃতা সেরে মঞ্চ থেকে নামার সময় নেতাদের অনেককে এসে শিশিরবাবুর হাতদুটো ধরে মাথা নামিয়ে নমস্কার করতে দেখা যায়। সেই সময়েই জেলা সভাপতির দিকে দু’হাত বাড়িয়ে দেন দিবাকর। তাঁর মুখের দিকে তাকিয়েই নিজের হাত সরিয়ে নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় জেলা সভাপতিকে। যদিও দিবাকরের যুক্তি, ‘‘এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। শিশিরবাবু আমাকে মঞ্চ থেকে নামার জন্য সামনে থেকে সরে যেতে বলেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement