রুগণ্‌ হাতির ঠাঁই ঝাড়গ্রামে

আহত বাচ্চা হাতিটি ঘুরে বেড়াচ্ছিল বাঁশবেড় গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে। তবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিশেষ চলতে পারছিল না। এলাকাবাসীর কাছে সে খবর পেয়ে রবিবার সকালে বন দফতরের আধিকারিকেরা হাজির হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৬ ০১:১৬
Share:

ঝাড়গ্রামে চিকিৎসা চলছে শিশু হাতিটির। নিজস্ব চিত্র।

আহত বাচ্চা হাতিটি ঘুরে বেড়াচ্ছিল বাঁশবেড় গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে। তবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিশেষ চলতে পারছিল না। এলাকাবাসীর কাছে সে খবর পেয়ে রবিবার সকালে বন দফতরের আধিকারিকেরা হাজির হন। ঘুম পাড়ানি ওষুধে অজ্ঞান করে হাতিটির প্রাথমিক চিকিৎসাও শুরু করা হয় জঙ্গলেই। তারপর তাকে ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে। বন দফতরের মেদিনীপুর বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “হাতিটির মাথায় আঘাত রয়েছে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত সেরে উঠবে।”

Advertisement

আহত শিশু হাতিটি পুরুষ। বয়স বছর চারেক। বন দফতর জানিয়েছে, দলমা থেকে আসা দলেই সে ছিল। পরে দলছুট হয়ে যায়। তিন চারদিন ধরে গোয়ালতোড় রেঞ্জের হুমগড় বিট এলাকায় দলছুট শিশু হাতিটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছিল। বন দফতরের আশা ছিল, তাকে ফিরিয়ে নেবে দল। কিন্তু তা না করায় রুগণ্‌ হাতিটির চিকিৎসায় উদ্যোগী হয় বন দফতর। রবীন্দ্রনাথবাবুর কথায়, “একে রুগণ্‌, তার উপর দল তাড়িয়ে দিয়েছে। তাই চূড়ান্ত হতাশায় ছোট্ট হাতিটি বারবার গাছে মাথা ঠুকেছে। তা থেকেই মাথায় আঘাত লেগেছে বলেই মনে হচ্ছে।’’ এখন বন দফতরের একটাই লক্ষ্য, হাতিটিকে সুস্থ করে তোলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement