Sheikh Sufian

Sheikh Sufiyan: মমতার নির্বাচনী এজেন্ট সুফিয়ানকে এখনই গ্রেফতার নয়, জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট

একই মামলায় সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৩০
Share:

একই মামলায় সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট।

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময় নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতা দেবব্রত দাস খুনের মামলায় অভিযুক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানকে অন্তর্বর্তী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুফিয়ানকে গ্রেফতার করা যাবে না।

Advertisement

একই মামলায় সুফিয়ানের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এর পরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন সুফিয়ান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো গ্রেফতারে রক্ষাকবচ পেয়ে সুফিয়ান বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বেছে বেছে তৃনমূলের নেতা-কর্মীদের টার্গেট করা হচ্ছে। প্রকাশ্য জনসভায় শুভেন্দু অধিকারী যাদের নাম নিচ্ছেন, তাঁদেরই সিবিআই গ্রেফতার করছে। এই মুহুর্তে এমন ১২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। এটা বিজেপির ষড়যন্ত্র।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি এই কারণেই আগাম জামিনের জন্য আবেদন করেছিলাম সর্বোচ্চ আদালতে। সিবিআই যে পরিকল্পনা করেই জেলে ভরছে তৃণমূল নেতাদের, তা আদালতকে জানিয়েছি। আমি সিবিআই তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করছি। তার পরেও ওঁরা পরিকল্পনা করে আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করতে পারে।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পর নন্দীগ্রামের একাধিক এলাকায় বেছে বেছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। সেই হামলায় গুরুতর জখম হন দেবব্রত দাস। তাঁকে পরে কলকাতায় নিয়ে গেলে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো খুন ও ধর্ষণের ঘটনার তদন্তে নেমে এই মামলায় ১২ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁদের মধ্যে সুফিয়ানের জামাইও রয়েছেন। মঙ্গলবারই এই ১২ জন হলদিয়া আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তা খারিজ হয়ে গিয়েছে।

বুধবার শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশের পর বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভোট পরবর্তী সময়ে নন্দীগ্রাম-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তাণ্ডব চালিয়েছে তৃনমূল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই মামলার তদন্ত করছে। যাঁরা দোষী, তাঁরা প্রত্যেকেই জেলে যাবে। এখন যাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আগাম জামিন নিচ্ছে, তাঁদের দোষ প্রমাণ হলেও যাবে জেলে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement