তাণ্ডবের চিহ্ন। নিজস্ব চিত্র
সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত মদের দোকানের আড়ালে যৌন ব্যবসা এবং এলাকায় মদ্যপদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে এই অভিযোগ তুলে ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা মদের দোকানে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিল। বৃহস্পতিবার ভগবানপুর থানার মহম্মদপুর গ্রামের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক ধরে ভগবানপুর থানার মহম্মদপুর গ্রামে সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত একটি মদের দোকান চলছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মদের দোকান থাকার জন্য এলাকায় মদ্যপদের উৎপাতে মহিলারা রাস্তাঘাটে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। বিশেষ করে রাতে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন তাঁরা। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও ওই দোকানের কাছ দিয়ে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। স্থানীয় মানুষের আরও অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে ওই মদের দোকানের মদ বিক্রিরআড়ালে দিঘা-মন্দারমণি থেকে মহিলাদের নিয়ে এসে যৌন ব্যবসা চালাচ্ছে দোকানের মালিক। বুধবার রাতে দোকানে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছে, এমন খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতা ওই মদের দোকানে ঘেরাও করে। বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার মানুষ দোকানে ভাঙচুর চালায় ও আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। দোকানের মালিককেও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ভগবানপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ ভাঙচুরের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের দাবি, মদের দোকান থাকায় এলাকায় মদ্যপদের উৎপাতে মহিলারা আতঙ্কে থাকেন। কয়েক মাস ধরে মদের দোকানের আড়ালে যৌন ব্যবসা চলছে। প্রশাসনকে এই দোকান অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। যদিও মদের দোকানের মালিক অবন্তী মান্নার দাবি, ‘‘দোকানে কোনও যৌন ব্যবসা চলে না। একেবারেই মিথ্যা অভিযোগ তুলে গুজব এবং হিংসা ছড়ানো হচ্ছে।’’ ভগবানপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ভাঙচুর-মারধরের ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।