শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
‘নানুর দিবস’ উপলক্ষে তৃণমূলের কর্মসূচি। সেখানে হাজির দলের অন্যতম হেভিওয়েট নেতা তথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু হলদিয়ায় হওয়া ওই কর্মসূচিতে গরহাজির রইলেন তৃণমূলের অধিকাংশ কাউন্সিলর। তাতেই ‘ক্ষুব্ধ’ পুরপ্রধান। কৈফিয়ত তলব করা হবে বলে ‘হুমকি’ দিলেন তিনি।
২০০০ সালের ২৭ জুলাই বীরভূমের নানুরে ১১ জন কৃষক নিহত হয়েছিলেন। দিনটির বর্ষপূর্তিতে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে তৃণমূল। এ ভাবেই হলদিয়ায় তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে দিনটি পালিত হয়ে আসছে কয়েক বছর ধরে। এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। শনিবার হলদিয়া পুরসভার পাশেই রবীন্দ্র–নজরুল মঞ্চে রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে পালন হয় নানুর দিবস।
কর্মসূচিতে ছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, চেয়ারম্যান শ্যমল আদক-সহ সুতাহাটা এবং হলদিয়া ব্লকের সভাপতিরা। কিন্তু এ দিনের কর্মসূচিতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অধিকাংশ কাউন্সিলরেরাই হাজির ছিলেন না বলে অভিযোগ। তৃণমূল সূত্রের খবর, হলদিয়া পুরসভার ২৯ জন কাউন্সিলের মধ্যে মাত্র ৯ জন কাউন্সিলর এসেছিলেন কর্মসূচিতে।
বাকিরা কেন আসেননি, তা নিয়ে অনুষ্ঠান-মঞ্চেই উষ্মা প্রকাশ করেন পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামল আদক। তিনি বলেন, ‘‘এই কর্মসূচিতে রাজ্যের ব্যস্ত মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী আসতে পারেন, রামনগর থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস আসতে পারেন অথচ স্থানীয় কাউন্সিলরদেরই অনেকে আসেননি!’’ এর পরেই পুরপ্রধান কর্মসূচিতে গরহাজির কাউন্সিলরদের তিনি কৈফিয়ত তলব করবেন বলে জানান।
এ দিনের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কউন্সিলর বিমল মাজি। কেন যাননি কর্মসূচিতে? পেশায় আইনজীবী বিমলের জবাব, ‘‘কলকাতায় একটি জরুরি কাজে গিয়েছিলাম। তাই হাজির থাকতে পারিনি। এ দিন হলদিয়ায় থাকলে অবশ্যই যেতাম।’’
নানুর দিবসের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা তথা হলদিয়ার পুর পারিষদ (স্বাস্থ্য) আজিজুল রহমান বলেন, ‘‘দল ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই নানুর দিবসে আমাদের সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। শিবিরের পাশাপাশি এ দিন শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও করা হয়।’’