সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষক পদে আরও ৭৭ জনকে ডাকা হল।
২০১০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া মাধ্যমিক পাশ ও এক বছরের পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশে পূর্ব মেদিনীপুরে ২৪৬ জনকে প্রাথমিক শিক্ষক নিযুক্ত হয়েছেন গত সেপ্টেম্বর মাসে। আদালতের ওই নির্দেশের প্রেক্ষিতে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া জেলায় আরও ৭৭ জন পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তকে নথিপত্র সহ ডাকা হল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে।
সংসদ সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে ওই প্রার্থীদের অফিসে নথিপত্র সহ ডাকা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে ৫৯ জন প্রার্থী বৃহস্পতিবার তমলুকে সংসদ অফিসে তাঁদের নথি জমা দিয়েছেন। বাকিদের নথিপত্র সহ আগামীকাল শনিবার সংসদ অফিসে আসতে বলা হয়েছে। ২০১০ সালে রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়। মাধ্যমিক উত্তীর্ণদের নিয়ে পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের তালিকা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তালিকায় মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ও এক বছরের পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বহু প্রার্থী বাদ পড়েন বলে অভিযোগ। পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের একাংশ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওই প্রশিক্ষণের জন্য প্রাপ্য ২২ নম্বর যুক্ত করে শিক্ষক নিয়োগের তালিকা তৈরির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানির পর হাইকোর্ট রায় দেয়, ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদনকারী প্রার্থীদের পরীক্ষার ফলের সঙ্গে ২২ নম্বর যুক্ত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। গত ২৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ও পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে হবে।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি মানস দাস বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ৭৭ জন প্রার্থীকে তাঁদের নথিপত্র-সহ ডাকা হয়েছে। নথিপত্র যাচাইয়ের পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’’
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সম্পাদক সতীশ সাউ বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ এবং এক বছরের পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দাবি পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সমস্ত প্রার্থীকেই প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হোক।’’