গড়বেতা ছাড়াও ঝাড়গ্রামের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এমন পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। দীনেশ বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রামের পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে সেই অনুমতি দিতে রাজি আমরা। এই পোস্টার লাগানোর পিছনে আর কারা জড়িত, তারও খোঁজ চালাচ্ছি।’’
আটক সাতজন। নিজস্ব চিত্র।
মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার সাঁটানোর অভিযোগে পশ্চিম মেদিনীপুরে গ্রেফতার সাত জন। ব্যক্তিগত স্বার্থে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতেই তাঁরা মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার লাগিয়েছে বলে জেরায় শিকার করে নিয়েছেন ধৃতেরা, এমনটাই জানানো হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের তরফে।
সম্প্রতি গড়বেতার গনগনি এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার দেখা গিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল, ‘মাওবাদী জিন্দাবাদ, ফরেস্ট ল্যান্ড ভূমিহীন আদিবাসীদের মধ্যে অবিলম্বে পাট্টা হিসেবে বিলি করতে হবে।’ নীচে লেখা, ‘সিপিআই মাওবাদী’। এই পোস্টার উদ্ধার নিয়ে আতঙ্কের আবহে দিন দুয়েক আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদী পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, এর পরেই এই সাত জনকে গ্রেফতার করা হল। এই সাত জনের মধ্যে তিন জন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা। বাকিরা মেদিনীপুরের। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় ধৃতেরা স্বীকার করেছেন, এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতেই তাঁরা এই কাজ করেছেন। মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত নন।
গোপন সূত্রে খবর পেয়েই ওই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। তিনি বলেন, ‘‘সাত জায়গায় পোস্টার লাগিয়েছিল ওরা। পোস্টার যে খানে সাঁটানো হয় সেই গনগনি এলাকায় ওরা পিকনিকও করেছিল। আমাদের সোর্স জানায়, বাইকে করে গনগনিতে কয়েক জন পোস্টার লাগাতে এসেছিল। প্রথমে এক জনকে ধরেছি। ওকে জেরা করেই বাকিদের খোঁজ মিলেছে।’’
গড়বেতা ছাড়াও ঝাড়গ্রামের বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এমন পোস্টার উদ্ধার হয়েছে। দীনেশ বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রামের পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে সেই অনুমতি দিতে রাজি আমরা। এই পোস্টার লাগানোর পিছনে আর কারা জড়িত, তারও খোঁজ চালাচ্ছি।’’