ফাইল চিত্র।
রাখি উৎসবের পরে স্বাধীনতা দিবস। বজায় থাকল দলহীন জনসংযোগের সেই এক ধারা।
শনিবার দেশের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস পালন উপলক্ষে তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা গেল না রাজ্যে দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। বরং কাঁথি মহকুমার মাধাখালি, ইটাবেড়িয়া সহ একাধিক জায়গায় ‘আমরা দাদার অনুগামী’ লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে মাস্ক বিতরণ করতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু-অনুগামীদের। জেলায় স্বাধীনতা দিবসে দলের কর্মসূচিতে না থাকলেও শনিবার তমলুক শহরের রাজময়দানে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সেখানে জেলার ৩০০ টি ক্লাব, পাঁচটি পুরসভা এবং পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতিকে করোনা মোকাবিলায় বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি।
বার বার দলীয় কর্মসূচিতে না থেকে সমান্তরাল ভাবে নিজের মতো করে পরিবহণ মন্ত্রী এমন কর্মসূচি নিয়ে দলের মধ্যে যেমন প্রশ্ন উঠেছে। তেমনি এতে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছে কি না তা নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
শনিবার তমলুকের একটি অনুষ্ঠানে নিজেকে তমলুকের সেবক হিসেবে দাবি করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘২০০৪ সালে আমি লোকসভা ভোটে দাড়িয়েছিলাম। তখন কেউ বা কারা বলেছিল, জিতলেও পালাবে হারলেও পালাবে। সে বার আমি জিততে পারিনি। কিন্তু পালিয়ে যায়নি। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে আপনারা আমাকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছিলেন। আমি তমলুকের সেবক। সতীশবাবু, অজয়বাবু ও সুশীলবাবুর আদর্শে নিজেকে অকৃতদার রেখে মানুষের জন্য কাজ করছি। ভবিষ্যতেও করব।’’ তমলুকের নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করেন ও বিপ্লবীদের মূর্তি-শহিদ বেদিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান শুভেন্দু।
স্বাধীনতা দিবস বিভিন্ন কর্মসূচিতে থাকলেও কেন শুভেন্দুকে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা গেল না সেই প্রশ্নে জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘শুভেন্দু তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও রাজ্য সরকারের মন্ত্রী। জেলার বিভিন্ন জায়গায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন। তার মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠানেও ছিলেন। আর ওই সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সবাই আমাদের দলের লোকজন। ফলে দলের কর্মসূচির বাইরে থাকার বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে না।’’