Municipal Election

সংরক্ষণে বদল শুধু রেলশহরে  

খসড়া তালিকা যে আসন সংরক্ষিত ছিল, প্রায় তাই থাকল চূড়ান্ত তালিকায়। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল ও খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:০০
Share:

ছবি: সংগৃহীত

যা ছিল, তাই থাকল। খসড়া তালিকা যে আসন সংরক্ষিত ছিল, প্রায় তাই থাকল চূড়ান্ত তালিকায়।

Advertisement

মহকুমা প্রশাসন সূত্রে খবর, খসড়া তালিকায় ঘাটাল, ক্ষীরপাই, রামজীবনপুর এবং খড়ার— এই চার পুরসভার পুরপ্রধান ও খড়ার, রামজীবনপুর ও ক্ষীরপাই পুরসভার উপপুরপ্রধানেরা সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছিলেন। চুড়ান্ত তালিকাতেও সেটাই থাকছে। এছাড়া ঘাটাল শহর তৃণমূলের নেতা উদয়শঙ্কর সিংহরায়, ক্ষীরপাই ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুজয় পাত্র, ক্ষীরপাই শহর তৃণমূল সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য, রামজীবনপুর শহরের বিজেপি নেতা গোবিন্দ মুখোপাধ্যায়-সহ অনেকের ওয়ার্ডই সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে।

রেলশহরেও খসড়া তালিকার সঙ্গে চূড়ান্ত তালিকার তেমন পরিবর্তন ধরা পড়েনি। শুধুমাত্র ১ নম্বর ওয়ার্ডটি খসড়া তালিকায় তফসিলি জাতির মহিলা সংরক্ষিত থাকলেও চুড়ান্ত তালিকায় সেটি তফসিলি উপজাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। সিপিএম ও বিজেপি কমিশনের কাছে এই দাবি জানিয়েছিল। খড়্গপুরের মহকুমাশাসক বৈভব চৌধুরী বলেন, “খসড়ার সঙ্গে চূড়ান্ত তালিকায় ১টি ওয়ার্ড বাদে কোনও পরিবর্তন নেই। আমরা চূড়ান্ত তালিকা অফিসে টাঙিয়ে দেব।”

Advertisement

চুড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী খড়্গপুর শহর তৃণমূলের কোর কমিটির পাঁচ নেতা তথা কাউন্সিলরই এবার নিজের ওয়ার্ডে প্রার্থী হতে পারবেন না। পুরপ্রধান তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকারও তার মধ্যে আছেন। তাঁর ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। শহরের উপ-পুরপ্রধান শেখ হানিফ ও প্রাক্তন পুরপ্রধান জহরলাল পালের ওয়ার্ডটিও মহিলা সংরক্ষিত। প্রদীপ বলেন, “আমি পাঁচ বছরে শহরে যা কাজ করেছি তার ভিত্তিতেই ভোট হবে।’’ মহিলা সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের জেলা নেতা দেবাশিস চৌধুরীও। তাঁর কথায়, “সংরক্ষণের খসড়া যে নিয়ম মেনে হয়েছিল তাতে চূড়ান্ত তালিকায় পরিবর্তন হওয়ার কথাও নয়। দলের প্রতীকে যিনি প্রার্থী হবেন তার জন্যই লড়াই করব।” সংরক্ষণের কোপে পড়েছেন তৃণমূলের শহর সভাপতি রবিশঙ্কর পাণ্ডেও। তিনি বলেন, “সব ওয়ার্ডে জেতাই আমার লক্ষ্য। কে কোথায় প্রার্থী হবে সেটা দলই ঠিক করবে।”

তৃণমূল সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগেই কোর কমিটির পাঁচ নেতাকেই সতর্ক করে গিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি। সেখানে তিনি জানান, কোন ওয়ার্ডে কে প্রার্থী হবেন তা দল সমীক্ষা করে ঠিক করবে। কোথাও কোনও নাম আগাম ভাসিয়ে দেওয়া যাবে না। যদিও তৃণমূলের বহু কাউন্সিলরই বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিজের নাম ভাসিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দলের একাংশের ক্ষোভও বাড়ছে। দেবাশিস চৌধুরীও এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement