Coronavirus Lockdown

কমিউনিটি রেডিয়োর মাধ্যমে পড়ানো হবে স্কুলপড়ুয়াদের

করোনা কালে স্কুলপড়ুয়াদের পড়াশোনা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নাবালিকা বিয়ের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০২০ ০৪:১১
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনা সতর্কতায় স্কুল-কলেজ বন্ধ। ক্ষতি হচ্ছে পড়াশোনায়। এই পরিস্থিতিতে স্কুলপড়ুয়াদের স্বার্থে কমিউনিটি রেডিয়োর মাধ্যমে তাদের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানালেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।

Advertisement

মঙ্গলবার কমিশনের চেয়ারপার্সন-সহ চার সদস্যদের দল জেলায় আসেন। করোনা কালে স্কুলপড়ুয়াদের পড়াশোনা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি নাবালিকা বিয়ের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। নাবালিকা বিয়ে ও শিশুশ্রম বন্ধ করার ক্ষেত্রে প্রশাসন-পুলিশ, বিভিন্ন দফতরের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে এদিন তমলুকে জেলাশাসকের দফতরে কমিশনের সদস্যরা বৈঠক করেন। বৈঠকে নাবালিকাদের বিয়ে বন্ধ করতে জেলাপ্রশাসন ও পুলিশ ভূমিকা নিয়ে নিয়ে রিপোর্ট পেশ করেন জেলাশাসক। এ ছাড়াও নাবালিকা অপহরণ ও শিশুশ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করার ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে সে বিষয়েও রিপোর্ট দেওয়া হয় কমিশনের সদস্যদের কাছে।

বৈঠকের পরে কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করা ও শিশুশ্রম রোধে এই জেলায় প্রশাসন, পুলিশ-সহ বিভিন্ন দফতর ভাল কাজ করেছে।’’ এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘স্কুল বন্ধ থাকায় পড়ুয়াদের পড়াশোনার অসুবিধা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রেডিয়োর মাধ্যমে পড়াশোনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে কলকাতার ছাত্রছাত্রীদের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিটি রেডিওর মাধ্যমে পড়ানো শুরু হবে।’’ সেই সঙ্গে জেলার পড়ুয়াদের পড়াশোনার জন্য তিনি কমিউনিটি রেডিয়ো এবং কেবল্ টেলিভিশন নেটওয়ার্কের ব্যবহারের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন।

Advertisement

জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক পূর্ণেন্দু পৌরাণিক বলেন, ‘‘চলতি বছর মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে করোনা সতর্কতায় স্কুল ছুটি দেওয়া হয়েছিল। তারপরই দেশজুড়ে লকডাউন চালু হয়। চলে ৩১ মে পর্যন্ত। এরপর আনলক পর্ব শুরু হলেও স্কুল-কলেজ এখনও বন্ধ। লকডাউন ও স্কুলছুটির সময়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত জেলায় ২৩ জন নাবালিকার বিয়ে আটকানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ক্ষেত্রে ‘কন্যাশ্রী’ ক্লাবের সদস্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্যে নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।’’

তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, করোনার এই সময়ে ৫ জন নাবালিকার লুকিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসন জানতে পেরে ওই সব নাবালিকাকে উদ্ধার করেছে। তাদের আবাসিক হোমে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে। এছাড়াও এই সময় জেলায় নাবালিকা অপহরণের বেশ কিছু অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

এদিন বৈঠকে ছিলেন বিশেষ পরামর্শদাতা সুদেষ্ণা রায়, পরামর্শদাতা অরণ্য সেন ও সদস্য শেখর ভট্টাচার্য, জেলা সভাধিপতি, জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, জেলার অতিরিক্ত পুলিশসুপার (সদর) এমএম হাসান এবং মহকুমাশাসক, পুলিশের ডিইবি এবং জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক, জেলা শিশুসুরক্ষা ইউনিটের সদস্য ও বিভিন্ন হোমের প্রতিনিধিরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement