Flower Market of Panskura

বিশ্বকাপে হার, ঝিমিয়ে ফুলের বাজার

রবিবার আমদাবাদের ক্রিকেট স্টেডিয়াম সাজানোর জন্য যে সব ফুল ব্যবহার হয়েছিল তার অনেকটাই বাংলা থেকে পাঠানো বলে দাবি করেছে সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৩১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ভারত ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর হঠাই ফুলের দাম, চাহিদা ও বরাত বাড়তে শুরু করেছিল। কিন্তু ফাইনাল ম্যাচে ভারতের হারের পর এক ধাক্কায় পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। ফুলের চাহিদা তলানিতে গিয়ে ঠেকে। বাতিল হয়ে যায় বহু বরাত। হারের জন্য বিজয়োৎসব বাতিল হওয়ায় ফুলের বরাত বাতিল বলে দাবি ফুল ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

রবিবার আমদাবাদের ক্রিকেট স্টেডিয়াম সাজানোর জন্য যে সব ফুল ব্যবহার হয়েছিল তার অনেকটাই বাংলা থেকে পাঠানো বলে দাবি করেছে সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতি। ফুলের তোড়া তৈরির জন্য পাঁশকুড়া থেকে প্রচুর গোলাপও পাঠানো হয় বলে দাবি। ফলে গোলাপের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। মূলত পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থেকে ওই সমস্ত ফুল রফতানি করা হয়েছিল। ভারতীয় ক্রিকেট দল বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর ভারতের কাপ জয় নিয়ে প্রত্যয়ী ছিল সব মহল। বিজয়োৎসব পালনের জন্যও ফুল ব্যবসায়ীদের কাছে ফুলের প্রচুর বরাত এসেছিল। ফাইনালে ভারত হেরে যাওয়ার পর সেই সমস্ত বরাত বাতিল হয়ে যায়। কলকাতা মল্লিকঘাট ফুলবাজারের ফুল ব্যবসায়ী ভোলানাথ সাউ বলেন,"ভারত বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার পর বহু জায়গায় পুজো-হোম হয়। ফুলের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। ফাইনাল ম্যাচের পরের দিনের জন্য ফুলের অনেক বরাত ছিল। ভারত ফাইনালে হেরে যাওয়ায় পর সেই সমস্ত বরাত বাতিল হয়ে গিয়েছে।"পাঁশকুড়ার পারলঙ্কা গ্রামের গোলাপ চাষি অনুপম সামন্তের কথায়,"বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিন পর্যন্ত গোলাপের দাম যথেষ্ট ছিল। প্রতি একশোটি ফুল ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ফাইনালে ভারতের হারের পর সেই ফুলের দাম কমে একশো ফুল ৫০ টাকা কমে গিয়েছে।" সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন,"ভারত বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার পর ফুলের বাজার চাঙ্গা হয়েছিল। হারার পর ফুল বাজার নেতিয়ে পড়েছে।"

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement