গ্রিল ভেঙে চুরি হল বাড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগে জানলার গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে লন্ডভন্ড করল চোরের দল। দামি আসবাব থেকে সোনা-রুপোর গয়না— সব কিছু ব্যাগে পুরে একটু জিরিয়েও নেয় তারা। ফ্রিজ খুলে গলায় ঠান্ডা জল ঢালার পর চলে মিষ্টিমুখ। মিষ্টি আর চকোলেট চেটেপুটে খেয়ে গৃহস্থের বাড়ি থেকে ২০০ গ্রাম কাঁচা পোস্ত ‘লুট’ করে নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। বিয়েবাড়ি থেকে বাড়ি ঢুকে থ হয়ে গেলেন বাড়িমালিক। মাথায় হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন গৃহকর্ত্রী। রবিবার মেদিনীপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।
মেদিনীপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের তোলাপাড়ার সুকান্তপল্লির বাসিন্দা নীলকমল ভট্ট সপরিবারে বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বাড়ির দরজায় তালা দিয়ে চলে যান নীলকমলরা। রবিবার সকালে বাড়ি ফিরে মাথায় হাত পড়েছে তাঁর। তিনি দেখেন একটি ঘরের জানালা ভাঙা। গ্রিলের একটা অংশ বেঁকে রয়েছে। অনুমান, ওই পথেই বাড়িতে ঢোকে চোরেরা। দৌড়ে বাড়িতে ঢুকে নীলকমল দেখেন লন্ডভন্ড দশা। বিছানাপত্র এলোমেলো। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে জিনিসপত্র। আলমারি ভাঙা। বাড়িতে দামি আসবাবের প্রায় কিছুই অবশিষ্ট নেই। নীলকমলের অভিযোগ, চোরেরা আলমারি ভেঙে ১৫ ভরির রুপোর গয়না এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছে। প্রায় আট লক্ষ টাকার সোনার গয়না ছিল, তার কিছুই নেই।
বাড়ির সদস্য প্রণতি ভট্ট বলেন, ‘‘বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণে সবাই বাড়ির বাইরে ছিলাম। ফিরে এসে দেখি জানালা ভাঙা। সন্দেহ হয় আমার। ভিতরে ঢুকে দেখি বিছানা এলোমেলো। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে জিনিসপত্র।’’ প্রণতির দাবি, সোনাদানা তো চুরি গিয়েইছে। রান্নাঘর থেকে ৫ লিটার সরষের তেল, এমনকি ২০০ গ্রাম পোস্তও নিয়ে গিয়েছে চোরেরা। বিস্ময়ের সুরে তিনি বলেন,‘‘শুধু কি তাই? ফ্রিজ খুলে জল খেয়েছে। মিষ্টি রাখা ছিল তা-ও খেয়েছে। এমনকি, চকলেট পর্যন্ত খেয়ে চলে গিয়েছে।’’
এই চুরির ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।