একটি ‘সুইসাইড নোট’ পেয়েছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি
গড়বেতায় একটি স্কুলের ফাঁকা ক্লাসরুম থেকে এক শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায়। মৃত্যুর পিছনে কারণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে পুলিশের দাবি মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন নাসিমউদ্দিন খান নামে ভূগোলের ওই শিক্ষক।
শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর সেখান থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ পেয়েছে পুলিশ। গড়বেতার সানমুড়া হাইস্কুলের বৃত্তিমূলক শাখার ল্যাবরেটরি রুমে মধ্যবয়স্ক শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধারের সময়ের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়। এ নিয়ে আরও জলঘোলা হয়। বুধবার এ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, ‘‘ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মৃত শিক্ষকের দেহের ‘ইনকোয়েস্ট’ করা হয়েছে মঙ্গলবার। তার ভিডিয়োগ্রাফি করাও হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার একটি ভিডিয়োর অংশকে ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যারা এই কাজ করছে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কারা এই কাজ করেছে, তাঁদের কয়েকজনকে আমরা ফেসবুকে চিহ্নিত করেছি। তাদেরকে আমরা মেসেজ করে জানিয়েছি, এটা মুছে দেওয়ার জন্য। পুরোটা না জেনেই একটা অংশের ছবি নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যদি কেউ এটা করেন এবং যেটা করছেন সেটা বন্ধ না করেন, তাহলে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।”
উল্লেখ্য, সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা এলাকার সানমোড়া এলাকার হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। যা সুইসাইড নোট থেকেই জানা গিয়েছে। শিক্ষকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায়। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান থাকেন খড়গপুরে। পুলিশ সূত্রে খবর, যে দড়ি নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন তার মাপজোক করা হয়। পুলিশ ওই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকের সামনেই তদন্ত করে। পুলিশ সুপার বলেন, “আমরা ওই শিক্ষকের একটি সুইসাইড নোট পেয়েছি। তাতেই পরিষ্কার যে তিনি মানসিক অবসাদেই এই কাজ করেছেন।”