স্কুলের বাইরের দেওয়ালে মনীষীদের বাণীর পাশাপাশি লিখতে হবে পথ নিরাপত্তা নিয়ে সরকারি সতর্কবার্তা— ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ও। রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে এসেছে এমনই নির্দেশ।—নিজস্ব চিত্র
পথ নিরাপত্তা নিয়ে ছোটবেলা থেকেই সচেতনতা বাড়াতে স্কুলের পাঠ্যসূচিতে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ বিষয় রাখার কথা ঘোষণা হয়েছিল আগেই। এ বার রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে স্কুলের রাস্তা সংলগ্ন দেওয়ালে আঁকতে হবে বা লাগাতে হবে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে সচেতনতার বার্তা। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলির প্রধান শিক্ষকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। ইতিমধ্যে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের তরফে দেওয়া ওই নির্দেশিকা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্কুল শিক্ষকদের পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ অগস্ট রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের দেওয়া ওই নির্দেশিকা প্রতিটি জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক অফিসে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য শিক্ষা দফতরের ওই নির্দেশিকা রূপায়ণ করতে গিয়েই ফাঁপড়ে পড়েছেন জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা। কারণ পথ নিরাপত্তা সচেতনতামূলক ওই বার্তা স্কুল বাউন্ডারির দেওয়ালে আঁকা বা লেখার জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে এ নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিকের অভিযোগ, ‘‘আঁকা-লেখার জন্য শিল্পীর পারিশ্রমিক ও রং কেনার খরচ কোথা থেকে আসবে তা জানানো হয়নি। ফলে সরকারি ওই নির্দেশিকা পালন নিয়ে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছেন।’’ এগরা উত্তর চক্রের ষড়রং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মীনাক্ষী জানা বলেন, ‘‘আঁকা-লেখার জন্য অর্থ খরচ কী ভাবে পাব জানানো হয়নি। আর্থিক খরচের বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা দিলে ভাল হত।’’
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল বলেন, ‘‘স্কুলের প্রাচীরে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ বার্তা আঁকা-লেখার জন্য বেশি খরচ হবে না। বিদ্যালয়গুলি স্কুল গ্রান্ট, মেনটেনান্স গ্র্যান্ট, কন্টিজেন্সি গ্রান্ট প্রভৃতি খাত থেকে প্রাপ্ত অর্থ এই খাতে খরচ করতে পারে। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।’’