নয়া কৃষি বিলের প্রতিবাদে দেউলিয়া বাজারে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ। নিজস্ব চিত্র
কৃষক সংগঠনগুলির ডাকা ভারত গ্রামীণ বনধে দফায় দফায় অবরোধ হল জেলার দুটি জাতীয় সড়ক ও বিভিন্ন রাজ্য সড়কে। কৃষি বিলের প্রতিলিপি জ্বালিয়ে চলল বিক্ষোভ। যার পরিণতিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হল।
কৃষি বিল ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী আইন সংক্রান্ত বিলের প্রতিবাদে দেশের আড়াইশোটি কৃষক সংগঠন মুক্ত মঞ্চ গঠন করে শুক্রবার ভারত গ্রামীণ বনধের ডাক দিয়েছিল। বিলের প্রতিবাদ করলেও এই বন্ধকে সমর্থন করেনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এদিন সকাল ৯ টা নাগাদ কলাঘাত্র দেউলিয়া বাজারে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ। আধঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। নিমতৌড়িতে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কও অবরোধ করে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ। সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঁশকুড়ার প্রতাপপুর, নোনাকুড়ি, বাজকুল প্রভৃতি এলাকায় পথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। সংগঠনের সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী বিলের প্রতিবাদে আজকের বন্ধ সর্বাত্মক। কেন্দ্র কৃষক স্বার্থ বিরোধী এই বিল প্রত্যাহার না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’
বনধের সমর্থনে এদিন পথে নেমেছিল বাম কৃষক সংগঠনগুলিও। সকাল ১০টায় দেউলিয়া বাজারে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তারা। সওয়া ১১টা থেকে মেচগ্রাম মোড় এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ হয়। রাস্তার ওপর কৃষি বিল ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সংশোধনী আইন সংক্রান্ত বিলের প্রতিলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন অবরোধকারীরা। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। বাম কৃষক সংগঠনগুলির অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দাসঠাকুর, সিপিএম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি প্রমুখ।
এদিন পাঁশকুড়ার রাতুলিয়া বাজার এলাকায় কেন্দ্রের কৃষি বিলের প্রতিবাদে মিছিল করে তৃণমূল।মিছিলের পাশাপাশি রাতুলিয়া বাজারে পথাসভাও করা হয়। উপস্থতি ছিলেন তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক সভাপতি দীপ্তি জানা, মহিলা নেত্রী কবিতা ঘড়া প্রমুখ। দীপ্তি জানা বলেন, ‘‘আমাদের দল বনধের বিরোধী। তবে কেন্দ্রের কৃষক স্বার্থ বিরোধী বিলের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলবে।’’