ছবি: সংগৃহীত
আজ, সোমবার প্রকাশিত হবে আসন্ন পুরভোটের আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা। সূত্রের খবর, খসড়া তালিকায় যা রয়েছে চূড়ান্ত তালিকায় ঠিক তাই থাকতে পারে। এ ক্ষেত্রে উনিশ- বিশ হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক মানছেন, ‘‘সোমবার পুরভোটের আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা।’’ পুরভোটের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। তবে অনেকে মনে করছেন, পুরভোট হতে পারে সামনের এপ্রিলে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, খসড়া তালিকা নিয়ে ৪টি অভিযোগ এসেছিল। সবক’টিই এসেছিল খড়্গপুর নিয়ে। গত শুক্রবার সেগুলির শুনানি হয়। প্রশাসনের এক সূত্রের দাবি, শুনানিতে অভিযোগকারীদের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যায় অভিযোগকারীরা সন্তুষ্ট হয়েছেন। ওই সূত্রের দাবি, খসড়া তালিকায় ভুল নেই। পশ্চিম মেদিনীপুরের ৬টি পুরসভার ক্ষেত্রেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রোস্টার মেনে ওয়ার্ড সংরক্ষণ করা হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭টি পুরসভা রয়েছে। সবক’টিতেই ভোট আসন্ন। এরমধ্যে মেদিনীপুরে আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা আগেই প্রকাশিত হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী, ২৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৯টি। তফসিলি জাতি ২টি, তফসিলি উপজাতি ১টি। বাকি ৬টি পুরসভার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা গত ১৭ জানুয়ারি প্রকাশিত হয়। ওই পুরসভাগুলি হল খড়্গপুর, ঘাটাল, ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোনা, খড়ার এবং রামজীবনপুর। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, খড়্গপুরের ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ১২টি। ৪টি তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত ১টি। ঘাটালে ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৬টি ও তফসিলি জাতি সংরক্ষিত ৩টি। ক্ষীরপাইয়ে ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৪টি, তফসিলি জাতি সংরক্ষিত ৪টি ও তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত ১টি।
চন্দ্রকোনায় ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে মহিলা ৪টি এবং তফসিলি জাতি সংরক্ষিত ৫টি। খড়ারে ১০টি ওয়ার্ডের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৪টি ও তফসিলি জাতি সংরক্ষিত ৩টি। রামজীবনপুরে ১১টি ওয়ার্ডের মধ্যে মহিলা সংরক্ষিত ৪টি ও তফসিলি জাতি সংরক্ষিত ৩টি।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, ‘‘পুরভোটের প্রস্তুতি আমরা শুরু করে দিয়েছি। আসন সংরক্ষণের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু হবে।’’
বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শমিত দাশ এবং দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অন্তরা ভট্টাচার্যের দাবি, পুরভোটের জন্য দল প্রস্তুত। সিপিএমের জেলা সম্পাদক তরুণ রায়, কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৌমেন খানও জানান, প্রতিটি ভোটই রাজনৈতিক দলের জন্য পরীক্ষা। তাতে বসার জন্য তারা প্রস্তুত।