Shankarpur Sea Beach

সৈকতের ‘ক্ষত’ মেরামতের কাজ শুরু

সৈকত নগরী দিঘায় ইয়াসের পরবর্তী সময়ে দ্রুত পুনর্গঠন কাজ চলেছে। সেই পুনর্গঠন কমিটির মাথায় ছিলেন তৎকালীন রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শঙ্করপুর শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২৬
Share:

শঙ্করপুর সমুদ্র সৈকত। —নিজস্ব চিত্র।

ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে প্লাবিত হয়েছিল এলাকা। তছনছ হয়ে গিয়েছিল সৈকতের সৌন্দর্যায়ন। ভয়াবহ ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আড়াই বছর পরে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হল পূর্ব মেদিনীপুরের পর্যটন কেন্দ্র শঙ্করপুরে।

Advertisement

২০২১ সালের ২৬ মে ইয়াসে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল শঙ্করপুর মৎস্য বন্দর ও পর্যটন কেন্দ্র। সমুদ্র বাঁধের পাশাপাশি, সৈকত তছনচ হয়ে গিয়েছিল। কংক্রিটের বাঁধানো প্লেট ভেঙে দিয়েছিল। ফলে ভাঙাচোরা সৈকতে পর্যটকদের হাঁটা কষ্টকর হয়ে গিয়েছিল। শঙ্করপুরের এই সৈকতই এখন নতুন করে কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো হচ্ছে। বোল্ডার দিয়ে উঁচু বাঁধ করা হচ্ছে পাড়। গত কয়েকদিন ধরে শঙ্করপুর বিশ্ববাংলা পার্কের কাছ থেকে তাজপুরের সীমা পর্যন্ত চলছে ওই কাজ। দুটি বুলডোজার দিয়ে সিবিচে কংক্রিটের ভাঙা প্লেট অন্য জায়গায় সরিয়েদেওয়া হচ্ছে।

সৈকত নগরী দিঘায় ইয়াসের পরবর্তী সময়ে দ্রুত পুনর্গঠন কাজ চলেছে। সেই পুনর্গঠন কমিটির মাথায় ছিলেন তৎকালীন রাজ্যের মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ায় দিঘা। ভোল বদলেছে তাজপুরেরও। তবে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙাচোরা অবস্থাতেই পড়েছিল শঙ্করপুর। প্রশাসন সূত্রের খবর, সম্প্রতি সেচ ও পূর্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠক করেন দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিকেরা। সেখানে ঠিক হয়, শঙ্করপুরের পর্যটন এলাকাকে পুনর্গঠন করা হবে। ওই কাজ যৌথভাবে করবে পূর্ত ও সেচ দফতর। এর ভিত্তিতে দরপত্র ডেকে সম্প্রতি পুনর্গঠন কাজ শুরু হয়েছে।

Advertisement

পুনর্গঠনের কাজ হওয়াতে শঙ্করপুরে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় দোকানদার বলছেন, ‘‘এখানে আগে কম পর্যটক আসতেন। ইয়াসের পর সব কিছু তছনছ হয়ে যাওয়ায়, তা আরও কমে যায়। এবার অনায়াসে তাঁরা এখানে ঘুরতে পারবেন।’’ এ বিষয়ে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক সৈকত হালদার বলেছেন, ‘‘আগে সমুদ্র বাঁধ এবং সৈকতকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে সেচ ও পূর্ত দফতর। তারপর সেখানে কী ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া যায়, সেই চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement