ফাইল চিত্র
এক দফা জেরা হয়েছে। সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতো খুনের মামলায় ফের জেরার জন্য ছত্রধর মাহাতোকে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। আগামী শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ছত্রধরকে ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির কোবরা বাহিনীর কার্যালয়েই ডেকে পাঠানো হয়েছে ছত্রধরকে। নোটিস পাঠিয়েছেন মামলার তদন্তকারী অফিসার তথা এনআইএ-র কলকাতা শাখার ডিএসপি কাঞ্চন মিত্র।
২৫ সেপ্টেম্বর, তার আগের দিনই ওই মামলায় ছত্রধর-সহ ৩০ জন অভিযুক্তকে তলব করেছে কলকাতায় এনআইএ-র বিশেষ আদালত। আদালতে হাজিরার পরদিনই ফের জেরার তলবে প্রশ্ন তুলেছেন ছত্রধরের আইনজীবী কৌশিক সিংহ। কৌশিক বলেন, ‘‘তদন্তকারী সংস্থা অভিযুক্তকে একাধিকবার জেরার জন্য ডাকতেই পারে। কিন্তু এই মামলাটি বিচার প্রক্রিয়ার মুখে ছিল। এনআইএ পুনর্তদন্তের নামে বারবার ছত্রধরকে ডেকে জনসমক্ষে মামলার গুরুত্ব বাড়ানোর বৃথা চেষ্টা করছে।’’
ছত্রধর জানিয়েছেন, শুক্রবার কলকাতার বিশেষ আদালতে তিনি হাজিরা দেবেন। শনিবার শালবনির কোবরা ক্যাম্পেও যাবেন। তবে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক ছত্রধরের অভিযোগ, ‘‘আমার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ঢল দেখে ভয় পাচ্ছে বিজেপি। তাই আমাকে আটকাতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ বিজেপি-র ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী পাল্টা বলেন, ‘‘ছত্রধর ভয় পেয়ে প্রলাপ বকছেন। কারণ, উনি অতীতে নিজের কাজকর্ম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল।’’
হাইকোর্ট সাজা কমানোয় জেলমুক্ত হয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে লালগড়ের আমলিয়া গ্রামের বাড়িতে ফেরেন ছত্রধর। এরপরেই ২০০৯ সালে লালগড় ও ঝাড়গ্রাম থানায় দায়ের হওয়া পুরনো দু’টি মামলার (২০০৯ সালের ১৪ জুন লালগড়ে সিপিএম কর্মী প্রবীর মাহাতো খুন ও ২৭ সেপ্টেম্বর জেলবন্দি ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস আটক) পুনর্তদন্ত শুরু করে এনআইএ। সেই সূত্রে গত ২৮ ও ২৯ অগস্ট শালবনির কোবরা ক্যাম্পে ছত্রধরকে জেরা করা হয়েছিল। এনআইএ সূত্রে খবর, আগের জেরায় ছত্রধর সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় ফের তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।