প্রতীকী ছবি।
দীর্ঘদিন পর দাবি পূরণ হয়েছে, কাঁথি ও খেজুরি এলাকার মানুষ তাই সন্তুষ্ট রাজ্য সরকারের ভূমিকায়। নয়ের দশকের শুরু থেকেই রসুলপুর নদীতে বোগা ও রসুলপুর ঘাটে স্থায়ী জেটির দাবি তুলেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু কাজ হয়নি। অবশেষে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দকুমারের সভা থেকে এই জেটির উদ্বোধন করেন। মঙ্গলবার সেটি খুলে দেওয়া হয় সাধারণের জন্য।
কাঁথি থেকে দেশপ্রাণ ব্লক হয়ে রসুলপুর দিয়ে খেজুরি যাওয়ার রাস্তা প্রায় ১৫ কিলোমিটার। কিন্তু জেটি না থাকায় রসুলপুর নদীতে ভুটভুটি পেরিয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি বেশি। তাই বেশিরভাগ মানুষই সড়ক পথে হেঁড়িয়া হয়ে যাতায়াত করতেন। তাতে তাঁদের ৪৬ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরতে হতো। এখন রসুলপুর ঘাট থেকে ছেড়ে দু’টি লঞ্চ সমুদ্র পথে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় যাতায়াত করে। পাশের জেলার মানুষেরও এতে সুবিধা হবে। চার কোটি টাকা খরচে কাঁথির দিকে রসুলপুর এবং খেজুরির দিকে বোগা ঘাটে স্থায়ী জেটি তৈরি হয়েছে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডলের বাপের বাড়ি খেজুরিতে, শ্বশুরবাড়ি কাঁথি। ফলে এই সমস্যার সঙ্গে তাঁর বিশেষ পরিচিত আছে। তিনিও বলেন, “অনেক ভোগান্তির কথা জানি। তাই জেলা পরিষদ থেকে এই দাবি তুলেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সেই দাবি পূরণ হয়েছে। তাই আরও ভালো লাগছে।’’